মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শিল্পায়নের মধ্যেই পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, সরকারের এখন মূল লক্ষ্যই টেকসই প্রবৃদ্ধি। শিল্পায়ন ছাড়া সম্পদ গড়ে তোলা অসম্ভব। গত শুক্রবার নওশেরাতে রাশাকাই প্রায়োরিটিজ বিশেষ অর্থনৈতিক জোন উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ অর্থনৈতিক জোনটি চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের অধীনে চলবে। ইমরান খান বলেন, এটা পাকিস্তানের জন্য ভালো। কারণ, চীন দ্রুত উন্নতি করে চলেছে, পাকিস্তান তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে।
পশ্চিমা দেশগুলোর শিল্পায়নকে ‘পুরোনো’ মন্তব্য করে পাকিস্তানের সেখান থেকে কিছু শেখার নেই বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান। তিনি বলেন, কিন্তু চীনের সাম্প্রতিক শিল্পায়নের অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশটির কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে।
ইমরান খান খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রীকে অর্থনৈতিক জোন প্রসঙ্গে ‘সতর্ক’ করেন। তিনি বলেন, ‘আপনি বলেছেন লোকজন এই জায়গা কিনতে বেশ আগ্রহী...এই জমি বেচা চলবে না। কম দামে লিজ দিন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জায়গা বিক্রি করে দিলে তা রিয়েল এস্টেটে পরিণত হয়, তখন জমির দাম বেড়ে যায়। যখন জমির দাম বেড়ে আকাশচুম্বী হয়, তখন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো সেই সঙ্গে তাল মেলাতে পারে না। মন্ত্রী চান, শিল্পপ্রতিষ্ঠান তৈরিতে আগ্রহীরা এসব জমি লিজ নিক।
রপ্তানি বাড়ানো প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, ‘অতীতের সরকার এদিকে কোনো নজরই দেয়নি। আমরা যদি বিশ্বে রপ্তানি না করি, তাহলে আমাদের সম্পদ কীভাবে বাড়বে। আমরা আটা, চাল, চিনি বেচে ধনী হতে পারব না।’
চীন রপ্তানি খাতটিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, ‘আমরা রপ্তানি খাতকে কখনো আমলে নিইনি। তাই রাশাকাই অর্থনৈতিক জোনটি আমাদের জন্য ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি করবে।’ তিনি রপ্তানিভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দিতে কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ নিয়ে বলেন, পাকিস্তান বিনিয়োগকারীবান্ধব দেশ নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো বিদেশি বিনিযোগের প্রতিবন্ধকতা দূর করিনি। একজন ব্যক্তি মুনাফার উদ্দেশে ব্যবসা করেন, দাতব্য কাজের জন্য নয়। বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের পথকে সুগম করার দায়িত্ব সরকারের। চীন সস্তা শ্রমের জন্য বিভিন্ন দেশে আউটসোর্সিং করে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। আমরা পাকিস্তানে আসার জন্য তাদের প্রণোদনা দেব। আমাদের একমাত্র সমস্যা হলো, বিনিয়োগে যেসব বাধাবিপত্তি আছে, তা থেকে পরিত্রাণের পথ বের করা।’ সূত্র : ডন অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।