প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
হলিউডের আলোচিত দম্পতি ব্রাড পিট ও অ্যাঞ্জোলিনা জোলি। বিয়ের দুই বছরের মাথায় ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন দুজন। বিচ্ছেদের পরেও তাদের সম্পর্কের তিক্ততা নিয়ে আলোচনা থামছে না। বিচ্ছেদের পর থেকেই এক দীর্ঘ অভিভাবকত্বের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এ দম্পতি। এই মামলার তদারকি করার জন্য নিযুক্ত বিচারক জন ওউডারকির্ক এবার ব্র্যাড পিটের পক্ষে রায় দিয়েছেন। সন্তানদের যৌথ অভিভাবকত্ব সঁপে দেয়া হয়েছে অভিনেতার হাতে।
এ রায়ের বিরোধিতা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। আদালতের বিচারকের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাছাড়া সন্তানদের মতামত শোনেনি আদালত, এটিও অভিযোগ জোলির।
যদিও অ্যাঞ্জেলিনার অভিযোগ উড়িয়ে ব্র্যাড পিটের আইনজীবী বলছে, গত ছয়-মাস ধরে স্বচ্ছতার সঙ্গেই এই মামলার শুনানি চালিয়েছেন বিচারক। এই ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি ব্র্যাড পিট।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মতে, এই সিদ্ধান্তটি একেবারেই আকস্মিক এবং জোলি এখনো তার আইনি লড়াই বজায় রেখেছেন।
উল্লেখ্য, দাম্পত্য জীবনে ছয় সন্তানের অভিভাবক অ্যাঞ্জেলিনা (৪৫) এবং পিট (৫৭) জুটি। ম্যাডক্স (১৯), প্যাক্স (১৭), জাহরা (১৬), শিলোহ (১৪) এবং যমজ ভিভিয়েন ও নক্স (১২)- এদের মধ্যে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অ্যাঞ্জেলিনা এবং তিন জনকে দত্তক নিয়েছিলেন এই দম্পতি। তবে সবচেয়ে বড় সন্তান ম্যাডক্স প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার উপর এই সিদ্ধান্ত বর্তাবে না; সে নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নেবে।
২০০৫ সালে 'মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ' ছবির সেটে পরিচয় হয় এ দুই তারকার। ব্র্যাড তখন বিবাহসূত্রে অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টনের সঙ্গে বাঁধা। বলা হয়ে থাকে, জোলির জন্যই ২০০৫ সালে বিচ্ছেদ হয় ব্র্যাড পিট আর জেনিফার অ্যানিস্টনের। এরপর প্রায় ১০ বছর একসাথে কাটিয়ে সন্তানদের অনুরোধে ২০১৪ সালের আগস্টে বিয়ে করেন এই জুটি। সেটা ছিল ব্র্যাড পিটের দ্বিতীয় আর অ্যাঞ্জেলিনা জোলির তৃতীয় বিয়ে। এরপর মাত্র দু'বছরের মাথায় ২০১৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন জোলি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।