Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউরোপায় হলুদ বসন্ত

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজার হয়ে কখনো শিরোপা জেতা হয়নি ওলে গানার সুলশারের। ওদিকে উনাই এমেরি ইউরোপা বিশেষজ্ঞ, এই ট্রফিটা জিতেছেন সবচেয়ে বেশি। আরও একবার সেই এমেরির হাতেই উঠল শিরোপা। অদ্ভুত এক টাইব্রেকারে উয়েফা ইউরোপার শিরোপা জিতল তার দল ভিয়ারিয়াল, সেটাও আবার ম্যাচের ২২তম কিকে গিয়ে। গতপরশু রাতে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতার ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষের পর রোমাঞ্চ ছড়ানো টাইব্রেকারে ১১-১০ ব্যবধানে জেতে ভিয়ারিয়াল।
পোল্যান্ডের গদানস্কের গ্যালারিতে বসে দিনটি স্মরণীয় করে রেখেছেন প্রায় ১০ হাজার দর্শক। যাদের সিংহভাগই ছিলেন ভিয়ারিয়ালে হলুদ রঙা জার্সি গায়ে। যেন ইউরোপে লেগেছে নতুন বসন্ত! শুধু ইউরোপাই নয়, যেকোনো ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টেই তাদের ৯৮ বছরের ক্লাব ইতিহাসে যে এটা ভিয়ারিয়ালের প্রথম শিরোপা। সেই সাথে লা লিগায় সপ্তম হয়েও এখন আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলবে ভিয়ারিয়াল।
স্প্যানিশ ক্লাবটির এই স্বপ্নযাত্রার সবচেয়ে বড় নায়ক নিঃসন্দেহে কোচ উনাই এমেরি। প্রথম কোচ হিসেবে জিতলেন চারটি ইউরোপা লিগ শিরোপা। এর আগে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে সেভিয়ার কোচ হিসেবে এর শিরোপা জিতেছিলেন তিনি। ইউনাইটেডের শিরোপা খরা আরও দীর্ঘ হলো। দলটির কোচ হিসেবে প্রথম শিরোপার অপেক্ষা বাড়ল উলে গুনার সুলশারেরও। দলটি সবশেষ শিরোপা জিতেছিল ইউরোপা লিগেই, ২০১৭ সালে।
গদানস্কের ম্যাচে ২৯ মিনিটে জেরার্ডো মরেনোর গোলে এগিয়ে যায় ভিয়ারিয়াল। সেট পিস থেকে ইউনাইটেড রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে এগিয়ে দেন ফর্মে থাকা এই স্ট্রাইকার। এরপর ইউনাইটেড খেলায় ফেরার চেষ্টা করে, রাশফোর্ড সহজ একটা সুযোগ নষ্ট না করলে সমতা ফেরাতে পারত। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫ মিনিটে সেটা করে, এবারও সেট পিসের পর রাশফোর্ডের শট ডিফ্লেক্টেড হয়ে কাভানির কাছে এসে পড়ে, সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করেন। প্রতিযোগিতাটিতে শুরুর একাদশে নেমে নিজের শেষ ১১ ম্যাচে ১৬ গোল করলেন ৩৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার। কিন্তু এরপর আর দুই দলের কেউ গোল পায়নি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও দুই দলের গোলরক্ষককে বড় পরীক্ষা দিতে হয়নি। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে, যেখানেও দুই দলের কোনো খেলোয়াড়ই ভুল করছিলেন না।
টাইব্রেকারে প্রথম গোলটা করেছিলেন ভিয়ারিয়ালের জেরার্ড মরেনো, ম্যান ইউনাইটেডের হয়ে হুয়ান মাতা ভুল করেননি। দানি রাবা গোল করার পর অ্যালেক্স তেলেসও গোল করেন ইউনাইটেডের হয়ে। পাকো আলকাসেরের গোলের পর ব্রুনো ফার্নান্দেজও গোল করলেন। এরপর আলবার্তো মরেনো আবার গোল করে এগিয়ে দিলেন ভিয়ারিয়ালকে। মার্কাস রাশফোর্ড গোল করলেন,আবার সমতা ফেরাল ইউনাইটেড। দানি পারেহোর গোলে আবার এগিয়ে গেল ভিয়রিয়াল। কিন্তু শেষ কিকে গোল করে কাভানি রাখকেন সমতা (৫-৫)। খেলা গড়ায় সাডেন ডেথে।
সেখানেও সমতা। ময় গোমেজের গোলের পর ফ্রেডও গোল পেলেন। ওদিকে আলবিওলের পর আবার ড্যানিয়েল জেমসের গোলে সমতা। লুক শ মিস করতে করতেও করলেন না, টিকে রইল ইউনাইটেড। একে একে ম‚ল একাদশের বাকি সবাই গোল করলেন (১০-১০)। এরপর গোলরক্ষকদের পালা। শেষ পর্যন্ত মিস করলেন ডেভিড ডি গিয়া। তার কিকটা ঠেকিয়েই নায়ক বনে গেলেন রুই। ইতিহাস-ঐতিহ্যে তো বটেই, নামে-ভারে আর শক্তিতে ইউনাইটেডের চেয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা ভিয়ারিয়ালই গড়ল দারুণ এক ইতিহাস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ