নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : ২০১৩ সালে বাংলাদেশ দল যখন পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে সফর করেছে শ্রীলংকায়, সেই সিরিজকে সামনে রেখে অবসর নিয়েছেন থিলান সামারাবীরা। তার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে টেস্ট, ওয়ানডেÑদুই ভার্সনের ক্রিকেট খেলেছেন এই শ্রীলংকান। মাশরাফি, সাকিব, তামীম, মুশফিকুরদের ভালই চেনেন তিনি। সম্প্রতি শ্রীলংকা সফরকে সামনে রেখে অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট দলের ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব করেছেন পালন। তার আগে অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের একই দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল তার উপর। এবার পেয়েছেন একই অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ দলের। ৪৫ দিনের জন্য বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব পেয়েছেন। সেই অ্যাসাইনমেন্টটা শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। বাংলাদেশ দলের পর পর ২টি হোম সিরিজকে সামনে রেখে ব্যাটসম্যানদের আরো ক্ষুরধার ব্যাটিংয়ের তালিমটা শুরু করে দিয়েছেন গতকাল থেকে। তবে প্রথম দিন খেলোয়াড়দের জেনেছেন সামারাবীরাÑ‘প্রথম দিন আমি চুপচাপ ছিলাম। দলের চার-পাঁচজনকে আমি চিনি, যাদের বিপক্ষে খেলেছি। নুতন যারা এসেছে তাদের সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। সামনের দিনগুলোতে এই গ্রæপের সঙ্গে অনেক স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারব।’
মূলতঃ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজকে লক্ষ্য করে হাতুরুসিংহের প্রস্তাবনায় ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে তার অন্তর্ভুক্তি হলেও আপাততঃ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজকেই দিচ্ছেন তিনি গুরুত্বÑ‘আমি প্রথমে অগ্রাধিকার দিতে চাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজকে। ক’মাস পর ফিরে ২৫ হাজার দর্শকের সামনে খেলা একটু হলেও ভিন্ন, তা জানি। তাই প্রথমে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজকে ফোকাস করছি,তার পর ইংল্যান্ড সিরিজ।’
যে বাংলাদেশকে দেখেছেন, সেই বাংলাদেশ গেছে বদলে। তার জন্য কোচিং স্টাফের স্বাধীনতা এবং ক্রিকেটারদের মানসিকতাকে করেছেন প্রশংসাÑ ‘কোচিং স্টাফকে হাতুরুসিংহে কতোটা স্বাধীনতা দিয়েছে এবং কতোটা স্বাধীনতা দেয়ায় গত ১৮ মাস ভারত, পাকিস্তান, দ.আফ্রিকার মতো দলকে হারিয়েছে বাংলাদেশ,এশিয়া কাপে ফাইনালে উঠে ভারতকে হারানোর মতো অবস্থা তৈরি করেছেÑতা অনুভব করছি। বিশ্বাস করি,এই দলটি যে কোন শীর্ষস্থানীয় দলের সঙ্গে লড়তে প্রস্তুত। অনেক অনেক পরিবর্তন দেখছি। দলটির ক্রিকেটারদের নিজেদের উপর আস্থা আছে, পূর্ণ স্বাধীনভাবে খেলতে পারছে। মেধা নিয়ে আমি মোটেও দুর্ভাবনা করছি না। কার,তাদের খেলা টেলিভিশনে দেখেছি। ক্রিকেটকে ভালবাসি, এটাই আমার নেশা। কোচিংয়ের দিক থেকে কারো সংস্কৃতি সম্পর্কে বোঝাপড়া থাকাটা ভাল। এশিয়ার কালচার বলেই আমি ঠিক আছি। কারণ, এশিয়াতেই আমি ৩৪টি বছর কাটিয়ে দিয়েছি।’
হাতুরুসিংহের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া। হাতুরুসিংহের টিপসে পেয়েছেন উপকার, এক সময়ের সেই গুরু যখন তার কোচিং স্টাফে খÐকালীন সময়ের জন্য করেছেন যুক্ত,তখন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে কি উপায় আছেÑ‘আমার ক্যারিয়ারে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমি পুরোই অন্যরকম ক্রিকেটার ছিলাম। বাদ পড়ার পর আমি হাতুরুসিংহের সাথে দেখা করি। তারপর থেকে আমি অন্য এক ক্রিকেটার হয়ে যাই। তারপর থেকে আমার ব্যাটিং গড় ৫০ থেকে ৬০। আমার মনে হয় সে আমাকে সাহায্য করেছে আমার টেকনিক পরিবর্তন করতে। সে আমাকে সাহায্য করেছে নিজেকে প্রকাশ করতে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।