গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
শেখ হাসিনার সরকার দেশের আলেম সমাজের খেদমতে নিয়োজিত। বিএনপি সরকার ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিকে দীর্ঘ দিন মুলা ঝুলিয়ে রেখেছিল। বিএনপি সরকার কওমি মাদরাসা শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এদেশের ইসলাম প্রিয় মানুষের প্রাণের দাবি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করছেন। কওমি মাদরাসা শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের চাকরিও দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ৫৬০টি মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা করছেন। সারাদেশের মসজিদভিত্তিক মক্তবের ৮৪ হাজার ইমাম শিক্ষককে প্রতি মাসে বেতন ভাতা দিয়ে ইসলামের প্রচার প্রসারে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি আয়োজিত ধর্মের নামে অরাজকতা ও তথাকথিত ধর্মীয় নেতার ধর্মহীনতা এবং শান্তির ধর্ম ইসলাম শীর্ষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি এসব কথা বলেন।
ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাওলানা মো.ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্ণর ড. মুফতি মাওলানা কাফিল উদ্দিন সরকার সালেহী। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মো. মামুনুর রশিদ, দলের মহাসচিব শাইখুল হাদিস মাওলানা মুফতি শাহাদাত হোসাইন, শাইখুল হাদিস মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান, মধুপুর পীর সাহেব মাওলানা আবু হানিফ, মাওলানা নূরুল ইসলাম, হাফেজ ক্বারী সানাউল্লাহ, মুফতি মুহিববুল্লাহ,মাওলানা গোলাম মোস্তফা।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কিছু আলেম নামধারী লোক ইসলামের নামে দেশে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এরা যাকাত-ফিতরার টাকাও নিজের একাউন্টে জমা নেয়। মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মাওলানা মামুনুল হকের অর্থের ফিরিস্তি বেড়িয়ে আসছে। মাওলানা মামুনুল হক পরের স্ত্রীকে নিয়ে রিসোর্টে যায়।
তথ্য মন্ত্রী বলেন, যারা ইসলামের কথা বলে মানুষের ঘর-বাড়ি ভূমি অফিস ও ফায়ার সার্ভিস জ্বালিয়েছে তারা ইসলামের শত্রু। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। কারা ইসলামের খেদমত করছে তা’ জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। মন্ত্রী বলেন, ভোট আসলেই বিএনপি মুসলমানের ভেস ধরে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য। তথ্য মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি। ইসরাইলি রাষ্ট্র আমরা মানি না। ফিলিস্তিনি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্যাতিত মজলুম ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি মনে প্রাণে সমর্থন দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর নীতি অনুসরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারও ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি পুর্নসমর্থন অব্যাহত রাখছে। বর্তমান সরকার ইসরাইলের সাথে কোনো কূটনৈতিক সর্ম্পক গড়ে তুলেনি। কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে ইসরাইল যেতে দেয়া হবে না এবং ইসরাইল থেকেও কাউকে এদেশে আসতে দেয়া হবে না বলেও তথ্য মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের শাসনামলে সন্ত্রাসী ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। সে সময়ে আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদে ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করার দাবি তুলেছিল। কিন্ত বিএনপি ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করতে দেয়নি। তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এসব বিষয় স্মরণ করার অনুরোধ জানান। আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে কওমি মাদরাসা ও হিফজখানাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জোর দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।