Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা : নওগাঁ-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে প্রশাসন

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২১, ৫:৫২ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে, নওগাঁর কয়েকটি উপজেলাকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। ওইসব উপজেলার ইউএনও ও সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বেশ কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জানা গেছে-চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাথে নওগাঁর দুটি হাইওয়ে সড়ক আছে। এছাড়া ছোট-অনেকগুলো যাতায়াতের পথ আছে। ইতিমধ্যেই সেগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। করা হচ্ছে মাইকিং। এসব চেকপোষ্ট গুলোতে জরুরি পন্যবাহি যাহবাহন ছাড়া কোন রকম কোন যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও যেসব পন্যবাহি যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে সেসব যানবাহন গুলোকে ভালোভাবে জীবানুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে, স্যানিটাইজারের ব্যবহার ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা হচ্ছে। এবিষয়ে নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া জানান-যেহেতু চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমন বেড়ে যাওযায় লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। তাই সংক্রমন রোধে নওগাঁ-চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাথে হাইওয়ে সড়ক ছাড়াও ছোট যাতায়াতের যেসব সড়ক রয়েছে সেগুলোতে ইতোমধ্যেই পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যাতে কেউ অকারনে যাতায়াত করতে না পারে। আর যেসব পন্যবাহি যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে সেসব যানবাহন গুলোকে ভালোভাবে জীবানুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে, স্যানিটাইজারের ব্যবহার ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা হচ্ছে।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশিদ জানান-পাশ্ববর্তী জেলা থেকে যাতে নওগাঁয় করোনা সংক্রমন ছড়াতে না পারে এই জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাথে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহি অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় হাট বাজার ও গণ পরিবহনে সামাজিক দূরত্ব, শত ভাগ মাস্ক ব্যবহার ও অন্যান্য বিধি নিষেধ কার্যকরে আরো বেশী নজরদারীর কথা বলা হয়েছে।

এছাড়া বিজিবি, ভারত সীমান্তে কড়া নিরাপত্তায় রয়েছে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। নওগাঁ জেলার সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর, পাশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা। আর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আছে ধামৈরহাট পতœীতলা, সাপাহার ও পোরশাসহ ৪টি উপজেলা।
উল্লেখ্য-জেলায় এই পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত ২ হাজার ১৮৪ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৯৮৪ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ