Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাজিরপুরে ‘‘ইয়াসের’’ প্রভাবে ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত

৫ সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি

নাজিরপুর (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২১, ১:৫৬ পিএম

পিরোজপুরের নাজিরপুরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় কমপক্ষে ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শ্রীরামকাঠী ঐতিহ্যবাহী বন্দর, গাঁওখালী, দেউলবাড়ী দোবড়া, মালিখালী, দীর্ঘা,সেখমাটিয়া, নাজিরপুর সদর, কলারদোয়ানিয়াতে ইয়াসের প্রভাবে ব্যাপক ভাবে প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৬ ফুট পানি বেড়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘর বাড়ি তলিয়ে গেছে। এসব নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫ হাজারের বেশি পরিবার দূর্ভোগে পড়েছেন। রয়েছেন পানিবন্দি। বুধবার সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দমকা হাওয়া ও মাঝে মাঝে থেমে-থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।

শ্রীরামকাঠী বন্দরে নদী ভাঙ্গন এলাকায় বন্দর রক্ষাবাদ (ভেরিবাদ) না থাকায় হুমকির মুখে বন্দরবাসী। এতে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে বন্দরবাসী। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বন্দরের দোকানপাট। এতে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে ব্যবসায়ীরা। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়ায় কিছু কিছু এলাকায় যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে মৎস্য চাষীরা, সবজী চাষীরা।

এ বিষয়ে শ্রীরামকাঠী বন্দরের ব্যবসায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী কৃষ্ণ কান্ত মজুমদার মোঃ মহিবুল হাওলাদার, মোঃ কামরুল হাসান মহসিন, ও বলেন এ ইয়াস বন্যার প্রভাবে আমাদের বসতবাড়ী ও দোকান প্লাবিত হয়েছে। আমরা সবাই আতঙ্কে আছি। আমাদের দোকানের মালামাল ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের এ নদীতীরবর্তী বন্দরের কোন বন্দর রক্ষাবাদ (ভেরিবাদ) না থাকায় আমরা হুমকির মুখে পড়ে গেছি। এ বিষয়ে সরকার কোন নজরদারী না দিলে আমরা হয় তো এর চেয়ে বড় ধরনের বন্যা হয়ে নদীতে ভেসে যাব।

এদিকে সাচিয়া বাজারে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভেরিবাদ না থাকায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় তাদের দোকানপাট সহ রাস্তাঘাট, বসতঘর সবই তলিয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে নাজিরপুর উপজেলা ইত্তেফাক সংবাদ দাতা ও মৎস্য চাষী অনুপ সিকদার জানান আমি তিন একর জমিতে মাছের চাষের জন্য ঘেড় করেছিলাম। মঙ্গলবার রাতের জোয়ারে হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় আমার ঘের সম্পূর্ণ তলিয়ে যায়, চারদিকে সাড়া রাত ধরে নেট জাল দিয়েও রক্ষা করতে পারিনি। এতে আনুমানিক ৩ লাখ টাকার মাছ বের হয়ে গেছে। এ ক্ষতিপূরণ সামলিয়ে ওঠা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তবে যদি সরকারি কোন সাহায্য পাই তা হলে হয় তোবা এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব।
এ বিষয় নাজিরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল জানান নাজিরপুরের বিভিন্ন জায়গায় মাছের ঘেড় তলিয়ে গেছে আমি খবর পেয়েছি। তবে আমরা এখন পর্যন্ত সরকারি কোন নির্দেশনা পাইনি। যাদের যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের তালিকা করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করব।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ