Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে নদী ও খালের পানিতে প্লাবিত বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল

বাগেরহাট প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২১, ১১:৫২ এএম

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের মাঝেমধ্যে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে সকল নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে দুই থেকে আড়াই ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকাসহ সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। তবে এ উপজেলার পানগুছি নদীর তীরে থাকা শানকিভাঙ্গা ও বদনী ভাঙ্গা গ্রামের বেড়িবাঁধ না থাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে। যে কারনে ঝড়ের প্রভাব শুরুর আগে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এই দুই গ্রামের বাসিন্দারা। একই ভাবে জেলার শরণখোলা রামপালসহ বিভিন্ন এলাকায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াশ’ মোকাবিলায় ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। জেলায় ৩৩৪ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও ৬২৯ স্কুল কলেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ঘূণিঝড়ের সময় করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় ৩ লাখ লোকের থাকাসহ গবাদীপশুও রাখা যাবে। একই সাথে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হবে হ্যান্ড সেনিটাইজার, মাস্কসহ পর্যাপ্ত পানি। এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, নৌবাহিনী কোস্টগার্ডসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, সব মিলিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। একই সাথে নগদ টাকাসহ ২৮ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতি উপজেলায় শিশুখাদ্য ও পশুখাদ্য কেনার জন্য আলাদা ভাবে পাঠানো হয়েছে ১ লাখ টাকা করে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তি উদ্ধার তৎপরতা চালাতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেডক্রিসেন্ট, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশ সদস্যরা সব ধরনের পর্যাপ্ত যানবাহন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৮৫টি মেডিকেল টীম প্রস্তুত রেখেছে। তবে গত রাতে জেলায় সামান্ন বৃস্টিপাত হলে আজ সকাল থেকেই আকাশ পরিস্কার রয়েছে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ^জিৎ বৌদ্ধ বলেন, পূর্ণিমার ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে উপকূলীয় এলাকায় নদী-খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ এ পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ভাটিতে এ পানি আবার নেমে যাবে। মোরেলগঞ্জের কিছু গ্রামে রয়েছে যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন ভেড়িবাঁধ নেই। সে সব গ্রামের বাসিন্দারা ঝুকির মধ্যে রয়েছে। তাদেরকে নিরাপদে সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, সিগনাল ৪ নম্বর না হওয়া পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। ৪ নম্বর সিগনাল জারি কিংবা ক্রস করলেই সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে।

বাগেরহাটের নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, আবহাওয়া স্টেশনের মনে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এ আমাদের তেমন ক্ষতি হবে না। তারপরও এই ঝড় যেকোন সময় দিক পরিবর্তন করতে পারে। এজন্য জেলায় ৩৩৪ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও ৬২৯ স্কুল কলেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, নৌবাহিনী কোস্টগার্ডসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, সব মিলিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তি উদ্ধার তৎপরতা চালাতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেডক্রিসেন্ট, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশ সদস্যরা সব ধরনের পর্যাপ্ত যানবাহন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৮৫টি মেডিকেল টীম প্রস্তুত রেখেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ