Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পটুয়াখালীতে পানিবন্দী লোকজন সাইক্লোন সেল্টারে লোকজন আসতে শুরু করেছে

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০২১, ১০:৫৬ পিএম

জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দী ও প্লাবিত রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ও চরমোন্তাজ ও কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের পানিবন্দি লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে আসতে শুরু করেছে।

চরমোন্তাজের চেয়ারম্যান মো: হানিফ মিয়া জানান, তার ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের তিনটি ৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৮ থেকে ৯শ লোক ইতোমধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। জোয়ার শুরু হয়েছে রাত ৯ টায় ইতোমধ্যে পানি দিনের সর্বোচ্চ স্বাভাবিকর চেয়ে ৩-৫ ফুটের বেশী হয়ে গেছে। জোয়ার চলবে রাত ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত।

চালিতাবুনিয়ার চেয়ারম্যান মো: জাহিদ জানান, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়ে গেছে।চালিতাবুনিয়ার চর লতার ৯ টি পয়েন্টে দিয়ে পুনরায় প্রবল বেগে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। দক্ষিণ চালিতা বুনিয়ার বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে মরা গাঙ্গি, চরলতা, দক্ষিণ চালিতাবুনিয়া এই তিনটি গ্রামে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ঐ এলাকার ৬ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে তিনটি সাইক্লোন সেল্টারে তিন শতাধিক লোক আশ্রয় গ্রহণ করেছে।

এ ছাড়াও জেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো.শওকত হোসেন বিশ্বাস জানান, কলাপাড়ার নাওয়াপাড়া থেকে-চাড়িপাড়া পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধের মধ্যে বুড়াজালিয়া এলাকার বেড়ীবাঁধ রাত ১০টার দিকে প্রবল জোয়ারের চাপ ও পানি বৃদ্ধির ফলে ছুটে যায়। এতে একটি ১টি ওয়ার্ড সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ওই এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রে কমপক্ষে ৩০০ শতাধিক লোক আশ্রয় গ্রহণ করেছে। দু দফা জোয়ারে প্লাবিত হওয়ায় মানুষজনের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। এ ছাড়াওলালুয়া ইউনিয়নের পানিবন্দী এক থেকে দেড়হাজার লোক ইতোমধ্যে ৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পটুয়াখালী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ