পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন কবির কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কবির কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিনি বলেন, কবি নজরুল আজ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তিনি সব সময় আমাদের জীবনে প্রাসঙ্গিক থাকবেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে কবি নজরুল ছিলেন অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তার গান ও কবিতা আমাদের রণাঙ্গনে সাহস ও শক্তি জুগিয়েছে। তিনি প্রেমের কবি দ্রোহের কবি। সবচেয়ে বড় কথা তিনি মানবিকতার কবি, অসাম্প্রদায়িকতার কবি এবং গণমানুষের কবি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ মহান কবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
এছাড়াও কবির কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় পক্ষে কেএম খালিদ, জাসাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষে ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, ছাত্রদল, ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, স্বপ্ন সাহিত্য চর্চা, নজরুল চর্চা কেন্দ্র-বাঁশরী, জয় বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, এনপিপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোট, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ন্যাপ, বাসদ, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ, গ্রন্থাগার অধিদফতর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, প্রাচ্যবাংলাসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
এ সময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, জাতির পিতার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে নজরুলকে ভারত থেকে নিয়ে আসা হয়। পরে জাতির পিতা তাকে জাতীয় কবির মর্যাদায় আসীন করেছিলেন। স্বাধীনতার এই পঞ্চাশ বছরে এই দুর্যোগের সময়ে নজরুল অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক আমাদের কাছে কাছে। তিনি সব ঝড়-ঝঞ্ঝা দূর করে সব সময় বিজয়ের গান গেয়েছেন। সুতরাং এই দুঃসময়ে সংকটকে কাটিয়ে ওঠার জন্য জাতীয় কবি নজরুল আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। কবির আজকে জন্মদিনে আমাদের প্রার্থনা– ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসুক এবং বৈশ্বিক মহামারির হাত থেকে বিশ্ব যেন রক্ষা পায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, জাতীয় কবির স্বতন্ত্র কিছু মূল্যবোধ আছে। তিনি জীবনে বহুমাত্রিক দর্শনের সমাহার ঘটিয়েছিলেন। তাকে কখনও বলি– সাম্যের কবি, কখনও অসাম্প্রদায়িক কবি, মানবতার কবি, ভালোবাসার কবি। অন্যদিকে, অসাম্প্রদায়িক ধর্মীয় মূল্যবোধও তাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।