পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতনী অনিন্দিতা কাজী। তিনি কবির ছোট ছেলে কাজী অনিরুদ্ধর ছোট মেয়ে। অনিন্দিতা কাজী ঢাকায় থাকার ইচ্ছা পোষণ করে জাতীয় কবির বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আমার দাদুকে (কাজী নজরুল ইসলাম) নিয়ে অনেক কাজ করতে চাই। পশ্চিমবঙ্গে দাদুকে নিয়ে তেমন কাজ হচ্ছে না। তবে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আমার দাদুকে নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। এটা দেখেই আমার অনেক ভালো লাগে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঢাকায় একটি বাড়ি চেয়ে আবেদনও করেছি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
অনিন্দিতা কাজী বলেন, দাদুকে (কাজী নজরুল ইসলাম) কেন্দ্র করে নানা উপলক্ষে আমাদের বাংলাদেশে আসতে হয়। এখানে এসে অন্যের বাড়িতে থাকতে হয়। যদি ঢাকায় আমাদের একটি বাড়ি হতো, তাহলে এসে সহজেই কাজ করা যেত। যতবারই বাংলাদেশে আসি ততবারই অন্যের বাড়িতে উঠতে হয়। এতে মানসিকভাবে একটু অস্বস্তিবোধ করি। তিনি বলেন, গত বছর আমরা ঢাকায় বাসা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত একটি আবেদন করেছিলাম। দাদুকে নিয়ে অনেক কাজ করার ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও কিন্তু আসতে পারি না। আমার মা শ্রীমতি কল্ল্যানী কাজী এখনো আমার দাদুর জীবন নিয়ে লেখালেখি করছেন। তিনি আরো বলেন, আসলে আমরা তাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অনেক ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এ বিষয়ে অনেক আন্তরিক আমার বিশ্বাস। তিনি অনেক ব্যস্ত থাকেন হয়তো ভুলে গেছেন। আমার মনে হয় তাাকে একটু মনে করিয়ে দিলে আমাদের জন্য ঢাকায় একটি বাসার ব্যবস্থা করবেন। এটা একটা আবেদন। না পেলে কোনো ক্ষোভ নেই। তবে একটি অভিমান আর কি।
উল্লেখ্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কাজী নজরুল ইসলামের দুই ছেলে কাজী সব্যসাচী ও কাজী অনিরুদ্ধ। কাজী সব্যসাচীর পরিবার ১৯৭২ সালে কবির সঙ্গেই বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন আর কাজী অনিরুদ্ধের পরিবার পশ্চিমবঙ্গে থেকে যান। অনিরুদ্ধ কাজী ১৯৭৪ সালে মারা যান। তার ছোট মেয়ে অনিন্দিতা কাজী বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয় ও পরিচিত মুখ, কলকাতার টিভি চ্যানেল ‘তারা বাংলা’র সিইও হিসেবে কাজ করেছেন। আর কবির বড় ছেলে কাজী সব্যসাচীর প্রথম সন্তান খিলখিল কাজী মা এবং ছোট ভাই বাবুলের সঙ্গে বর্তমানে ঢাকার বনানীতে থাকেন। দুই বাংলার খ্যাতিমান আবৃত্তিকার ছিলেন কাজী সব্যসাচী। তিনি বিয়ে করেন উমা কাজীকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।