মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সারা বিশ্বে প্রায় ৬ লাখ শিশু শরণার্থী রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকেরও কম শিশু স্কুলে যায়। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ৩০ লাখ ৭ হাজার স্কুল-বয়সী শরণার্র্থী শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। শরণার্র্থী সংস্থার মুখপাত্র ফিলিপো গ্রান্ডি বলেন, মিলিয়নেরও বেশি শিশু স্কুলে যেতে পারছে না, শৈশবে প্রবেশের আগে তারা শরণার্থী জীবনে প্রবেশ করে। তাদের স্কুলে ফেরত পাঠানোর জন্য বিশ্বকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিশ্বনেতাদেরই এটি বিবেচনা করতে হবে, কিভাবে শরণার্থী শিশুদের এই দুরবস্থা কাটিয়ে বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। এর আগে ইউনেস্কো জানায়, সারা বিশ্বের ৫০ ভাগ শিশু প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। আর সারা বিশ্বের ৯০ ভাগ শিশুর মধ্যে ২২ ভাগ শিশু হাইস্কুলে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। আর সারা বিশ্বের ৮৪ ভাগ শরণার্থীর মধ্যে মাত্র ৩৪ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে জানা যায়, সারা বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি শরণার্র্র্থীর মধ্যে চাঁদ, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, লেবানন, পাকিস্তান এবং তুরস্কের শিশুরা স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার যুদ্ধ শুরুর ৫ বছর আগে ৯৪ ভাগ সিরিয়ান শিশু প্রাথমিক এবং নি¤œ মাধ্যমিক স্কুলের গ-ির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। সমীক্ষায় দেখা যায়, ৯ লাখ সিরিয়ান শরণার্থী স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। অপর খবরে বলা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার অবরুদ্ধ শহর মাদায়াতে শিশুদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এ পর্যš মোট ৬ জন শিশু-কিশোর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ শিশুটির বয়স ১২ বছর। বিগত দুই মাসে ৭ জন পূর্ণ বয়স্ক মানুষও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। দিন দিন এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই মানসিক অবসাদ ও হতাশায় আক্রান্ত হওয়া এসব শিশু-কিশোরদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিল্ড্রেন। পশ্চিম সিরিয়ার এক স্কুলশিক্ষক বলেছেন, মানসিকভাবে শিশুরা ভেঙে পড়েছে। যুদ্ধ দেখতে দেখতে তারা ক্লান্ত। যখন আমরা তাদেরকে গান গাইতে বলি, তখন তারা নীরব থাকে। তাদের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তারা কখনও প্রাণ খুলে হাসে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে তারা হয়তো হাসতে ভুলে যেতো না। তারা যুদ্ধে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হওয়া বাচ্চাদের ছবি আঁকে। এছাড়া তাদের আঁকা ছবির বিষয়বস্তু ট্যাঙ্ক, অবরুদ্ধ সিরিয়া আর খাদ্য সংকট। কয়েকশত মানুষ মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তাদের মধ্যে নিদারুণ হতাশা আর মস্তিষ্ক বিকৃতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় মানসিক চিকিৎসা দেয়া স্বাস্থ্য সংস্থার সংখ্যা একেবারেই কম। বিবিসি, ইয়াহু, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।