Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ, নেই সংস্কারের উদ্যোগ

ফরিদগঞ্জ পৌরসভার বেহাল সড়ক

প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মামুনুর রশিদ পাঠান, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) থেকে

ফরিদগঞ্জ পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়কগুলোর বেহাল দশা বিরাজ করছে। বৃষ্টি নামলেই খানাখন্দে ভরা, কর্দমাক্ত পৌরসভার এই রাস্তাগুলো চলাচলকারী যানবাহন ও জনগনের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। বিশেষ করে টিএন্ডটি মোড় থেকে ফরিদগঞ্জ মধ্য বাজার হয়ে কালির বাজার চৌরাস্তা পর্যন্ত অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের বেহাল দশার কারণে নেহায়েত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ক্রেতা ও সাধারণ জনগণ ফরিদগঞ্জ বাজারে আসতে চায় না। যার কারণে যার কারণে বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা বিরাজ করছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দাবি আগে সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি থাকতো, এখন সন্ধ্যা রাতেই ক্রেতাদের দেখা মিলে না। বাজারের যোগাযোগ ব্যবস্থার দুরবস্থাসহ নানা অব্যবস্থাপনাই মূলত এর জন্য দায়ী। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, টিএন্ডটি মোড়, রূপসা রাস্তা মোড়, প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে, ওয়াপদার সামনে, পশ্চিম বাজার থেকে দাসপাড়া হয়ে কালির বাজার চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক, ফরিদগঞ্জ-চান্দ্রা সড়কের পৌরসভার অংশ, ফরিদগঞ্জ-কামতা সড়কের পৌরসভার অংশ, ফরিদগঞ্জ-কালির বাজার সড়কের পৌরসভার অংশসহ পৌর এলাকার সড়কগুলো খানাখন্দে ভরা। পানি জমে রিকশা, আটোরিকশা, সিএনজি অটোরিকশাসহ ছোট বড় যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। এছাড়া বাজারের ফুটপাতগুলো অবৈধ দখলদারদের দখলে চলে যাওয়ায় সড়কের দু’পাশের হাটার রাস্তা সঙ্কুুচিত হয়ে গেছে। ভাঙাচোরা কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে পথচারীদের হাঁটার সময় শরীরের জামাকাপড় কাদার ছিটায় নোংরা হয়ে যাচ্ছে। আর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজারে যাতায়াতে মাত্রাতিরিক্ত রিকশা ও অটো রিকশার ভাড়ার কারণে মাছ, মাংস কাঁচা বাজারের জন্য ক্রেতারা ফরিদগঞ্জ বাজারে যেতে চায় না। ক্রেতারা বাসস্ট্যান্ডে যানবাহন থেকে নেমে হাতের নাগালে হওয়া নতুন রাজা বাজার থেকে কেনা কাটা করে চলে যায়। এ সর্ম্পকে বাজার ব্যবসায়ীদের কাছে বক্তব্য জানতে চাইলে তারা বলেন, রাস্তায় খানাখন্দ ভরাটের জন্য প্রায়ই আদলা ইট, সুরকি ফেলা হয়। কিন্তু আদলা ইট, সুরকিগুলো এতই নিম্নমানের যে বৃষ্টির পানি আর যানবাহনের চাকার ঘষায় সেগুলো গুঁড়ো হয়ে কাদা পানিতে উল্টো জনগণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রাস্তার দুরবস্থার কারণে অতিরিক্ত রিকশা ভাড়া গুনতে হয় লোকজনকে। পৌরসভা সচিব মো. খোরশেদ আলম এ ব্যাপারে জানান, সড়কগুলো মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষ ইতোপূর্বে দুর্দশাগ্রস্ত সড়কগুলোতে ইট-বালি ফেলে যান চলাচলের উপযোগী করেছে। কিন্তু পানি ঠিকমতো নামতে না পারায় আবারো পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায় সড়কগুলো। এদিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জিয়াউল ইসলাম জানান, উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি রাস্তার পৌরসভার হলেও তারা এলজিইডির মাধ্যমে তার সংস্কার করার জন্য প্রকল্প তৈরি করেছেন। ফরিদগঞ্জ পশ্চিম বাজার থেকে কালির বাজার পর্যন্ত পুরো সড়কটি এবং ফরিদগঞ্জ পুর্ব বাজার থেকে চান্দ্রা বেড়িবাঁধ পর্যন্ত সড়কটিকে সংস্কার করার লক্ষে প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছেন। আশা করছেন দ্রুত তা অনুমোদন হবে। আর তার বাস্তবায়িত হলে পৌরবাসীর কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ