মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি শহরে সেনাবাহিনীর ওপর জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির (কেআইএ) সদস্যরা হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। জেড খনির শহর কামটি’তে এমন এক সময় এ হামলা হল, যখন মিয়ানমার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থা পার করছে। কেআইএ ফেব্রুয়ারিতে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলেরও বিরোধিতা করে আসছে। শনিবার সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা সাগাইং অঞ্চলের কামটি শহরের একটি সেনাচৌকিতে হামলা চালায় বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতী ও মিজিমার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে হামলাস্থল থেকে ব্যাপক ধোঁয়া উড়তেও দেখা যাচ্ছে। কেআইএ’র মুখপাত্র ন বু হামলার বিষয়ে অবগত থাকার কথা জানালেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি। কামটি’তে হামলার খবর প্রসঙ্গে রয়টার্স সামরিক জান্তার মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়ার জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি। “যুদ্ধ এখনও চলছে। আমি গুলির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি,” মিজিমা’কে এমনটাই বলেছেন কামটি’র এক বাসিন্দা। সামরিক বাহিনী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মিয়ানমা ইকোনমিক হোল্ডিংস লিমিটেড সংশ্লিষ্ট একটি খনি প্রকল্পের কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। তাৎক্ষণিকভাবে এসব তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাচিন জনগণের জন্য বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন চেয়ে ছয় দশক ধরে লড়াই চালিয়ে আসা কেআইয়ের মুখোমুখি যুদ্ধের মাত্রা তীব্রতর হয়েছে। জাতিগত সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটি ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের প্রতি তাদের সমর্থনও ব্যক্ত করেছে। কেআইএ’র হামলার পাল্টায় সেনাবাহিনী সশস্ত্র গোষ্ঠীটির ওপর বিমান হামলা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে মিজিমা। কামটি থেকে ভারত সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার। গত কিছুদিন ধরে সেনাবাহিনী কেআইয়ের অবস্থানে লাগাতার বোমা হামলা করেছে; সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মিয়ানমারের পূর্ব ও পশ্চিমে অন্যান্য জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গেও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ৮১২ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স। নিহতের এ তথ্য সঠিক নয় দাবি করে বিক্ষোভকারীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর দুই ডজন সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে অভিযোগ করে সেনাবাহিনী গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির ক্ষমতা কুক্ষিগত করে। ওই নির্বাচনে সু চি’র দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) বড় ধরনের জয় পেয়েছিল। সামরিক জান্তার নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন এখন এনএলডি’কে বিলুপ্ত করার পরিকল্পনা করছে বলে শুক্রবার কমিশনের চেয়ারম্যানকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাও। রয়টার্স, ইরাবতী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।