নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে তামিমের যাত্রা শুরু হয় এ বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে। এর আগে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে শ্রীলঙ্কা সফর করেছিলেন। তবে সেই স্মৃতি ছিল দুঃসহ অভিজ্ঞতার। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিনটি ওয়ানডে খেলে তিনটিই হেরেছিল তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। এবার স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামার আগে তামিমের কাছে জানতে চাওয়া হল, ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার উত্তম সুযোগ কি না? তামিম অবশ্য জানালেন, প্রতিশোধ নিতে লঙ্কানদের হারাতে চান এমন নয়, বরং আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের জন্য লঙ্কানদের সিরিজে হারাতে চান তিনি, ‘(প্রতিশোধ) ওরকম দেখি না। আমার কাছে মনে হয় এটা সুপার লিগে পয়েন্ট পাওয়ার বড় সুযোগ। যেহেতু ওয়ানডেতে খুব বেশি হোম সিরিজ খেলবো না, তাই এটা আমাদের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ। এই সিরিজ থেকে যেন সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিতে পারি। প্রতিশোধের ব্যাপারটা আমি ভাবি না। আমার দলে শতভাগ দিতে হবে, সব ঠিকভাবে করতে হবে, তাহলে জয়ের সুযোগ থাকবে।’
শ্রীলঙ্কান যে দলটি বাংলাদেশ সফরে এসেছে, সেখানে নেই সিনিয়র ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অনেকে। তবে অভিজ্ঞতার বিচারে নিজেদের খুব বেশি এগিয়ে রাখতে চান না তামিম, ‘ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা কাজে লাগে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল আপনি কেমন খেলছেন, পরিকল্পনা কেমন বাস্তবায়িত করছেন। শ্রীলঙ্কার এই দলের খেলোয়াড়দের সাথে আন্তর্জাতিক হোক বা ঘরোয়া ক্রিকেটে কমবেশি খেলেছি। তারা খুবই মানসম্পন্ন দল। তারা এমন প্রতিপক্ষ যাদের বিপক্ষে কখনই কিছু সহজ হয় না। আমাদের যদি ভালো করতে হয় বা ম্যাচ জিততে হয় আমাদের শতভাগের বেশি দিতে হবে।’
শ্রীলঙ্কাকে ভয়ংকর দল হিসেবে আখ্যায়িত করে তামিম বলেন, ‘তারা ভয়ংকর একটি দল। অভিজ্ঞতা অবশ্যই একটি ব্যাপার, যদি খেলায় এমন পরিস্থিতি আসে যেখানে অভিজ্ঞতা বড় ভূমিকা রাখবে, সেই পরিস্থিতিও আমাদের তৈরি করতে হবে। যদি এমন সুযোগই না আসে বা পরিকল্পনা কাজেই না লাগাতে পারি তাহলে আপনি যতই অভিজ্ঞ হোন না কেন, লাভ নেই।’
এক্ষেত্রে দলগত পার্ফরম্যান্সের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ দল এখনও সিনিয়রদের পারফরম্যান্সের ওপর বেশি নির্ভরশীল। তুলনাম‚লক তরুণদের কাছ থেকে এখনও সেই মাত্রায় নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স দেখা যায় না। তামিম মনে করেন, তরুণদের এখন সিনিয়রদের ছায়া থেকে বের হয়ে আসার সময় হয়েছে, বিশেষ করে লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের, যারা জাতীয় দলের অনেকদিন ধরে খেলছেন, ‘আমার মতে, এখনই সময় তাদের (লিটন ও সৌম্য) সামর্থ্যরে সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার। কিন্তু একইসঙ্গে, তাদের নিয়ে আমি দুশ্চিন্তা করছি না। কারণ তারা জানে তাদের সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে। যখন কেউ বুঝতে পারে কোথায় তার দুর্বলতা, তখন তাদের চাপ দেওয়ার কিছু নেই।’
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে তামিমের স্ট্রাইকরেট ও ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। ধারাবাহিকভাবে রান পেলেও পরিস্থিতি বিচারে তা দলের কতটা চাহিদা মেটাচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা হয় বিস্তর। সাম্প্রতিক সময়ের পরিসংখ্যান তামিমের রান পাওয়ার কথা বললেও মন্থর ব্যাটিংয়ের কথাও জানান দেয়। গত পাঁচ বছরে ওয়ানডেতে বিশ্বের ওপেনারদের মধ্যে রান সংগ্রাহকদের মধ্যে সেরা দশে আছেন তামিম। এই সময়ে ৫১.৬৭ গড়ে করেছেন ২৭৩৯ রান। তবে এদের মধ্যে তামিমের স্ট্রাইকরেটই (৭৮.৬৮) সবচেয়ে কম। এই সময়ে কমপক্ষে ২ হাজার রান করেছেন এমন ওপেনারদের মধ্যে আশির নিচে স্ট্রাইকরেট কেবল তামিমেরই। এমনকি আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং ৮৪.১৫ স্ট্রাইকরেট নিয়ে তার থেকে এগিয়ে আছেন অনেকটাই।
এদিনও অবধারিতভাবে উঠেছিল এই প্রশ্ন। তবে জবাবটা দিয়ে প্রশ্নের পথ বন্ধ করার অনুরোধ জানালেন তিনি, ‘আমার ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে মনে হয় আমি অনেক কথা বলেছি। অনেকবারই বলেছি। এটা কখনোই থামবার নয়, প্রশ্ন আসতেই থাকে। আমি কোন অ্যাপ্রোচে খেলব... পয অ্যাপ্রোচে খেলে আসছি গত চার-পাঁচ বছর ধরে, ওই অ্যাপ্রোচেই খেলতে থাকব, কারণ আমি খুবই সফল। আর এটা নিয়ে আসলে আমার ভবিষ্যতেও কিছু বলার নেই। যথেষ্ট বলেছি এটা নিয়ে। সবার কাছে অনুরোধ করছি আবার এই প্রশ্ন না করতে।’
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি হবে আগামীকাল, পরের দুটো ২৫ ও ২৯ মে। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সবক’টি ম্যাচই হবে দুপুর ১টায়। জৈব সুরক্ষা বলয়ে হওয়া সিরিজটি আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ হওয়ায় দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।