বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মরনোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে গ্রহণ করেছেন তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে ”স্বাধীনতা পদক ২০২১” প্রদান অনুষ্ঠানে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে এ পদক গ্রহণ করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.খ.ম. মোজাম্মেল হক, বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী, সচিব ও স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনীত ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্টানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার প্রাপ্ত অন্যরা হলেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে আহসান উল্লাহ মাস্টার (মরনোত্তর),আওয়ামীলীগ নেতা একে এম বজলুর রহমান (মরনোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ(মরনোত্তর) ,সাহিত্যে কবি মহাদেব সাহা, সংস্কৃতিতে চলচ্চিত্রকার-গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও নাট্যজন আতাউর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড.মৃন্ময় গুহ নিয়োগী,জনসেবায় অধ্যাপক ডা. এম. আমজাদ হোসেন, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল।
উল্লেখ্য,আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ১৯৪৫ সালে ৩ মে চট্টগ্রামের আনোয়ারার হাইলধর গ্রামের জন্ম গ্রহণ করেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান: তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদ এবং চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণের মধ্যে তিনি অন্যতম। তাঁর পাথরঘাটাস্থ বাসভবনে ‘জুপিটার হাউস’ থেকেই সংগ্রাম কমিটির কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এই বাসভবন থেকে সাইক্লাস্টাইল করা হয় এবং কালুঘাট অস্থায়ী বেতার কেন্দ্রসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের সমম্বয় এবং স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহ করে ভারতে অবস্থিত প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রেরণ করেছিলেন। তিনি এপ্রিলে ভারতে গমন করেন এবং বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটির সদস্য হিসেবে শরণার্থী শিবির ব্যবস্থাপনায় গুরুত্¦পূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে ইউরোপ ও আমেরিকা সফর বিশ্ব-জনমত গড়ে তোলা ও তহবিল সংগ্রহে অসামান্য অবদান রাখেন। রাজনৈতিক জীবন: তিনি ১৯৭২ সালে গণপরিষদ সদস্য এবং পরবর্তীতে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বরণ্যে এই দেশপ্রেমিক ৪ নভেম্বর ২০১২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
বাংরাদেশ সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দেয় সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।