ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মানসিক অসুস্থ এক পাগলি ধর্ষণ থেকে বেঁচে গেলেন চা দোকানি ও রিকসা চালকের কাছ থেকে। পরে শ্লীলতাহানির অভিযোগে পুলিশ চা দোকানিকে গ্রেপ্তার করলেও পালিয়ে যায় রিকসা চালক। মঙ্গলবার রাতে উপজেলা পরিষদের ভেতরে মানসিক অসুস্থ তরুণীকে শ্লীলতাহানি করলে পুলিশ চা দোকানিকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিজের নাম পরিচয় কিছুই সঠিক ভাবে বলতে না পারা ওই মানসিক অসুস্থ তরুণী উপজেলা পরিষদের ভিতরে একটি গাছ তলায় বেশ কিছুদিন যাবত রাত্রি যাপন করে আসছিলো। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে ওই জায়গায় অবস্থান করতে ছিলো এমন সময় রাত ২ টার দিকে দুই ব্যক্তি টান টানি করে উপজেলা পরিষদের ভেতরে

একটি অন্ধকার জায়গায় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করতে থাকলে ঘটনাটি স্থানীয় এক ব্যক্তি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় আটক করা হয় পৌর এলাকার শিমরাইল গ্রামের চা দোকানি মোস্তফা ভুট্টুকে এসময় তার সঙ্গে থাকা রবি মিয়া নামের এক রিকশা চালক পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সদর ইউনিয়নের দফাদার বুলবুল মিয়া বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় মোস্তফাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল কাদির মিয়া বলেন, মানসিক অসুস্থ মেয়েটিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। এক আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।