বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শরণখোলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ৪ নম্বর পূর্ব খোন্তাকাটা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজান ফরাজীকে (৪৫) লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ও পা ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। সাউথখালী ইউনিয়নের ২নম্বর বকুলতলা ওয়ার্ডে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন তিন নারীসহ আরও পাঁচজন। মঙ্গলবার (১৮মে) সন্ধ্যায় পৃথক দুটি সংঘর্ষে এ আহতের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুজনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) পাঠানো হয়েছে। অন্য চার জনকে ভর্তি করা হয়েছে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
আহত মিজান ফরাজীর বড় ভাই আলমগীর ফরাজীর অভিযোগ তার মেম্বর প্রার্থী জাকির গাজীর কর্মী এবং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। এ কারনে প্রতিদ্বদ্বি প্রার্থী ও বর্তমান মেম্বর নাসির শরীফের কর্মী রাব্বি খানের নেতৃত্বে ১০-১২ সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মিজানের দুই হাত ও বাম পা ভেঙে দেয়। আশঙ্কাজন অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে, প্রতিপক্ষের নাসির মেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। মারামারির বিষয়ে আমার জানা নেই।
অপরদিকে, সাউথখালী ইউনিয়নের ২নম্বর বকুলতলা ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বর মো. দেলোয়ার হোসেন খলিল ও প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী শহিদুল ইসলাম খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের তিন নারীসহ পাঁচ জন আহত হন। এরা হলেন খাদিজা বেগম (৪৫), আলাল ফরাজীকে (২৫), শাহিনুর বেগম (৪২), স্কুল ছাত্রী মারুফা আক্তার (১৪) এবং স্কুল ছাত্র মো. বাবু (১৫)। এদের মধ্যে খাদিজা বেগমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ইউপি মেম্বর দেলোয়ার হোসেন খলিল অভিযোগ করে বলেন, আহতরা আমার কর্মী-সমর্থক। প্রতিদ্বদ্বি প্রার্থী শহিদ খানের কর্মী সেকেন্দার ফরাজীর ছেলে দুর্ধর্ষ প্রকৃতির শামীম ফরাজীর নেতৃত্বে ৮-১০ লোক এই হামলা চালায়। প্রতিদ্বদ্বি প্রার্থী শহিদুল ইসলাম খান বলেন, জমিজমার দ্বদ্বের জেরে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এটা তাদের পারিবাকি বিষয়। হামলাকারীরা কেউই আমার নির্বাচনী কর্মী-সমর্থক না।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, দুটি সংঘর্ষস্থলেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নির্বাচনের তফশীল ঘোষনার পর থেকে শরণখোলার সাউথখালী, রায়েন্দা ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মেম্বর প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কমপক্ষে ১০টি সহিংস ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় উভয় পক্ষের আহত হন শতাধিক লোক। মামলাও হয়েছে একাধিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।