Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আগামী সপ্তাহে পূর্ণিমার জো তে ডিম ছাড়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়

মৌসুমের তিন তিথি গেলেও হালদায় মা মাছ ডিম দেয়নি

হাটহাজারী সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২১, ১০:৫৭ এএম

এপ্রিল ও মে মাসের তিনটি জো (তিথি) পার হলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ডিম ছাড়েনি মা মাছ তবে ডিম সংগ্রহকারীদের ধারনা আগামী সপ্তাহে পূর্ণিমা জো তে যদি বজ্রসহ বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢল নামে তথা পরিবেশ অনুকূলে থাকে তাহলে কার্প জাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়বে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ চট্টগ্রামের হালদা নদীতে। প্রজনন মৌসুম এপ্রিল থেকে জুন মাস। এ তিন মাসের যে কোন জোতে ডিম ছাড়ে মা মাছ। তাই এপ্রিলের প্রথম জো থেকেই হালদা পাড়ের কয়েকশ ডিম সংগ্রহকারী ডিম সংগ্রহের সরঞ্জাম নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। অনেকে নৌকা নিয়ে হালদায় টহলও দিচ্ছেন। ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, তিনটি জো ছিল কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ডিম ছাড়েনি মা মাছ। চলতি মাসের ২৪ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে আরেকটি জো রয়েছে। যদি পরিবেশ অনুকূল তথা বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হয় তাহলে ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা অধিক।

তারা জানান, নদীতে মা মাছের বিচরণ অনেক বেশী। সময়মত যদি ডিম না ছাড়ে তাহলে ডিম নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও জুন মাস পর্যন্ত ডিম ছাড়ার সময়। ভাগ্যক্রমে যদি জুন মাস তথা শেষ জোতেও ডিম না ছাড়ে তাহলে ডিম সংগ্রহকারীরা আর ডিম সংগ্রহ করেন না। কারন তখন বোয়াল মাছ, আইর মাছসহ বিভিন্ন মা মাছ ডিম ছাড়ে। সরেজমিন দেখা গেছে, হালদার তীর ঘেঁষে সারি সারি নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাথে ডিম সংগ্রহের জাল, বালতি, থালা- বাসন, বাঁশ, ছাউনিসহ সব ধরনের সরঞ্জাম। উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নস্থ মাছুয়াঘোনা হ্যাচারীতে দেখা গেছে, ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম রাখার কুয়াগুলো পরিস্কার করছেন। ডিম সংগ্রহের সাথে সাথেই যেন কুয়ায় ডিম সংরক্ষণ করতে পারেন। মাছুয়াঘোনা ছাড়াও হাটহাজারী উপজেলায় শাহমাদারি ও মদুনাঘাট মৎস্য হ্যাচারী নামে আরো দুটি হ্যাচারী রয়েছে। যেখানে প্রায় ১শ ৫০ টি কুয়া প্রস্তুত করা হয়েছে। ডিম সংগ্রহকারীরা যার যার প্রয়োজনমত কুয়া বুকিং করে রেখেছেন। যাতে পরবর্তীতে কুয়া নিয়ে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর প্রতি কুয়ায় চার বালতি ডিম সংরক্ষণ করতে পারবে। তবে প্রয়োজন বোধে কিছুটা বেশীও হতে পারে। ডিম সংগ্রহকারী আশু বড়ুয়া এ প্রতিবেদক কে জানান, আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ।

যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে হাটহাজারী এবং রাউজান উপজেলার সরকারী চারটি হ্যাচারী থেকে কমপক্ষে ৮ থেকে ৯ হাজার কেজি ডিম পাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া অনেকে মাটির কুয়াও প্রস্তুত করছেন ডিম সংরক্ষণে।

হাটহাজারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা প্রতিবেদক কে জানান, ডিম সংগ্রহের সব প্রস্ততি শেষ। পরিবেশ অনূকু্লে থাকলে সামনের পূর্ণিমার জো তে মা মাছ ডিম ছাড়বে। আশা করছি এবারও রেকর্ড পরিমান ডিম সংগ্রহ হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হালদা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ