পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর খিলক্ষেত ফ্লাইওভারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই ছিনতাইকারী নিহত হয়েছে। তারা হলো-রাসেল (৩০) ও এনামুল (৩৬)। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় নয়ন ও ইয়ামিন নামে আরো দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে খিলক্ষেত ফ্লাইওভারের ওপর এ ঘটনা ঘটে। ডিবি পুলিশের দাবি, নিহত ও গ্রেফতারকৃতরা অটোরিকশায় করে ছিনতাই করতো। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ডিবির গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান জানান, গত সোমবার রাত সোয়া ২টার দিকে কাওলা হয়ে পূর্বাচলগামী ফ্লাইওভারের মুখে একটি অটোরিকশাকে থামার সংকেত দেয় ডিবি পুলিশের একটি টিম। কিন্তু গাড়ি না থামিয়ে চালক দ্রæত সটকে পড়ার চেষ্টা করে। পরে অটোরিকশাটি ধাওয়া করে খিলক্ষেত ফ্লাইওভারের ওপর থাকা পুলিশের চেকপোস্টের সাহায্যে রাস্তার উপর মাইক্রোবাস রেখে আটক করার চেষ্টা করা হয়। এসময় অটোরিকশা থেকে দুইজন নেমে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষায় ডিবি পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি থামলে ফ্লাইওভারের উপরে পড়ে থাকা এনামুল ও রাসেলকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আর ফ্লাইওভারের ওপরে অটোরিকশার চালকের আসন থেকে নয়ন এবং পাশের আসন থেকে ইয়ামিনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, নিহত ও গ্রেফতারকৃতদের তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগাজিন, একটি ছুরি, দুটি টাইগার বামের কৌটা, একটি গামছা, নয়টি মোবাইল ফোন, ১৬টি ইয়াবা, একটি লাইটার এবং নগদ ৫ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওই চারজন প্রথমে টঙ্গীর মধুমিতা এলাকায় একত্রিত হয়ে আব্দুল্লাহপুর খন্দকার পেট্রোলপাম্পে আসে। ছিনতাইয়ের জন্য সেখানে ‘উপযুক্ত মক্কেল’ না পেয়ে বিমানবন্দর হয়ে কাওলার দিকে রওনা দেয়। উদ্দেশ্য ছিল, পথে কোনো ব্যক্তিকে একা পেলে অটোরিকশায় তুলে তারা মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা এবং মূল্যবান সামগ্রীসহ সবকিছু ছিনিয়ে নেবে।
ঈদের সময়টায় গভীর রাতেও মানুষ যাতায়াত করছেন জানিয়ে উপ-কমিশনার মশিউর বলেন, গণপরিবহন না পেয়ে অনেকে অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও ছোট পিকআপেও উঠছেন। ছিনতাইকারীরা এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছিল। চক্রটি ছিনতাইয়ের কাজে মূলত গামছা এবং মলম ব্যবহার করত। কেউ বাধা দিলে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে ফেলে দিত। তারা ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যা এবং মাদকের একাধিক মামলার আসামি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।