মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সম্প্রতি ভারতের গঙ্গা নদীতে (বাংলাদেশের পদ্মা নদী) একের পর এক রাজ্যে মৃতদেহ ভেসে আসার ঘটনায় চমকে উঠেছিল গোটা ভারত। তালিকায় ছিল বিজেপি’র মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশও। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, সেগুলি ছিল কোভিড রোগীর লাশ। প্রথমে তা মানতে অনড় ছিল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। তবে শেষ পর্যন্ত স্বীকারোক্তি দিয়েছে যোগী সরকার।
সংবাদ সংস্থার সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, গঙ্গায় ভেসে আসা লাশগুলি করোনা আক্রান্তদের মৃতদেহ বলেই স্বীকার করেছে প্রশাসন। যদিও সরকারভাবে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি তারা। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মনোজ কুমার সিং জানিয়েছেন, কোভিডে মৃত বেশ কিছু ব্যক্তির লাশ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়া হয়। জানা গিয়েছে, ১৪ মে এই বিষয়টি লিখিত আকারে জেলা প্রশাসকদের জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। আর সেই কারণেই একাধিক এলাকায় গঙ্গা থেকে লাশ ভেসে উঠতে দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে গাজিপুরের নিকটে গঙ্গায় ফেলে দেয়া কয়েকটি দেহের কোভিড রিপোর্টও এখনও আসেনি। দেহগুলিতে পচন ধরে যাওয়ায়, সেগুলি আদৌ করোনা আক্রান্ত ছিল কিনা, তাও এখনও বুঝে ওঠা মুশিকল বলে জানিয়েছেন মনোজ কুমার সিং। তার আরও বক্তব্য, সংক্রমণের ভয়ে অনেক পরিবার মৃতদেহ হাসপাতালে অথবা রাস্তাতেই ফেলে রেখে চলে গিয়েছেন।’
জানা গিয়েছে, প্রায় ২ হাজারেরও বেশি মৃতদেহ উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় গঙ্গায় ভেসে উঠতে দেখা গিয়েছে। বিহার, উত্তরপ্রদেশে থেকে দেহ সেই রাজ্যে ভেসে যেয়ে থাকতে পারে, এমন আশঙ্কাই করা হয়েছে। আর এ নিয়ে জোর তৎপরতা শুরু মালদার গঙ্গার ঘাটগুলিতে। নদীর পানিতে লাশ ভেসে আসছে কিনা, সে ব্যাপারে নজর রাখার জন্য নৌকার মাঝিদের সতর্ক করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। পাশাপাশি গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে জেলা প্রশাসন।
এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই ধরনের লাশ ভেসে আসতে পারে। সেই অনুযায়ী জেলা প্রশাসন তৎপর। সরকারি নির্দেশিকা মেনেই সবটা করা হবে। মানিকচক-সহ ঘাটগুলিতে নজরদারি চলছে। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিও তৎপর করা হয়েছে। স্পিড বোট, মাঝিদের সংগঠনকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মানিকচক থানার আইসি সঞ্জীব বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশের দল নজরদারি চালাচ্ছে গঙ্গা পথে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘কোনও লাশ ভেসে আসছে কিনা, খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।’ নৌকার এক মাঝি জানান, লাশ দেখতে পেলে পুলিশ প্রশাসনকে জানাতে বলা হয়েছে। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।