Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফেরীগুলোও যাত্রীতে টইটুম্বর, স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০২১, ১০:২৪ এএম

ঢাকা মুখি মানুষের ঢল নেমেছে মাওয়া ঘাটে। প্রচণ্ড কষ্ট, চরম ভোগান্তি আর করোনার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছে ঢাকামুখী মানুষ।  নাড়ির টানে বাড়ি যাওয়া, আবার কর্মের তাগিদে কর্মস্থলে যাওয়া দুই দিকের মানুষের ঢল এখন মাওয়া ঘাটে। কোনো স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বালাই নেই এই ঘাটে।

 মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটে ১৮টি ফেরী দিয়ে দুই পাড়ের মানুষে পারাপার করছে বিআইডব্লিউটিসির কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকাল থেকে মাওয়া ঘাটে দেখা যায় ঘরমুখো মানুষের জটলা। অপরদিকে বাঙলাবাজার থেকে ছেড়ে আসা ফেরীগুলোও যাত্রীতে টইটুম্বর। গাদাগাদি করে ভরে আসছে ফেরীগুলো। সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার তাতেও থামছে না মানুষের যাতায়াত।

বরিশালের ঝালকাঠির যাত্রী ব্যবাসায়ী সোবহান জানান, ঢাকায় ছেলে মেয়ে স্ত্রী নিয়ে ঈদ করেছি। এখন বাড়িতে মা, বাবা আত্মীয় স্বজন আছে তাদের সাথে দেখা করা জরুরী। তাই যাচ্ছি। ঢাকা থেকে আসছে ১ হাজার ৫০০টাকা খরচ হয়ে গেছে। ঝালকাঠি পর্যন্ত যেতে আরো কতোটাকা লাগবে জানি না। তার পরেও ঈদে বাড়িতে যেতে পারিনি তাই জরুরী ভিত্তিতে বাড়িতে যেতে হচ্ছে। আল্লাহর উপর ভরসা করে করোনা মহামারী মাথায় নিয়েই যাচ্ছেন তিনি।

প্রচণ্ড কষ্ট, চরম ভোগান্তি আর করোনার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছে ঢাকামুখী মানুষ। ঈদুল ফিতরের পরের দিন থেকে ঢাকামুখি মানুষের ঢল নেমেছে। বন্ধ হয়নি ঢাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার মানুষের বহর। চার দিন ছুটি শেষ হওয়ার পর থেকে খুলতে শুরু করেছে কর্মস্থল; যার কারণে অনেকেই কাজে যোগ দিতে কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তবে চলমান কঠোর লকডাউনে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় এর আগে ঢাকা ছাড়তে যতটা কষ্ট ও মৃত্যুঝুঁকি নিতে হয়েছিল, ঢাকায় ফিরতেও তেমনটিই করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকাগামী যাত্রীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাকা

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ