Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে আলোচনা শুরু

স্লোভাকিয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিটেনবিহীন ইইউর প্রথম সম্মেলনে ২৭টি দেশের শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করছেন

প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল বলেছেন, বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) একটি সংকটময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। স্লোভাকিয়ার রাজধানীতে যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর করণীয় নির্ধারণে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মারকেল এ মন্তব্য করেন। গত শুক্রবার স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাতিস্লাভায় যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর করণীয় নির্ধারণে আয়োজিত সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের মারকেল ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, আমরা সংকটময় একটা সময় পার করছি। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে শক্তশালী করতে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী আন্দোলন এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ে সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে। ইইউকে প্রবৃদ্ধি এবং কর্মক্ষেত্রের সুযোগও বাড়াতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের শীর্ষ নেতারা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। নেতারা ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনা করবেন না বলে জানানো হয়েছে। সম্মেলনের আগেই জানা গেছে, প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি ও শরণার্থীদের আগমন ঠেকানোর পন্থা নিয়ে ইইউ নেতাদের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, সম্মেলনে যুক্তরাজ্য ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মে উপস্থিত না থাকলেও আলোচনায় ব্রেক্সিট বিরাট প্রভাব ফেলবে। ইইউর প্রথম ব্রিটেন-বিহীন ব্রাতিস্লাভায় শুরু হচ্ছে ইইউ সম্মেলন। আর এই সম্মেলনে প্রথমবারের মতো একটি সদস্যরাষ্ট্র অর্থাৎ ব্রিটেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ইইউ থেকে ব্রিটেনের প্রস্থান (ব্রেক্সিট) পরবর্তী ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে সম্মেলনটি ডাকা হয়েছে। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক গত সপ্তাহে এক চিঠিতে ইউরোপীয় নেতাদের সতর্ক করে দিয়েছেন, অভিবাসন সংকট হবে সম্মেলনের শীর্ষ এজেন্ডা। কারণ ইইউ নাগরিকরা মনে করছেন গত গ্রীষ্মে এ সংকট সহনীয়তার চূড়ায় পৌঁছেছে। তবে সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভবিষ্যৎ চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন না নেতারা। তাদের বক্তব্য, আলোচনা শুরু হতে পারে কেবলমাত্র তখন, যখন ব্রিটেন আর্টিকেল ৫০-এর অধীনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করবে। তবে একদিনের এ সম্মেলনে ব্রেক্সিট প্রসঙ্গ আসছেই। ধারণা করা হচ্ছে, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্ত মোকাবিলা ও শরণার্থী ইস্যুতে মতবিরোধ দেখা দেবে। লন্ডনসহ ইইউর বহু রাজধানী সফর শেষে খোলা চিঠিতে ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, নিজেদের ঘাটতির মুখোমুখি হতে হবে ইইউকে। তার ভাষ্য, যুক্তরাজ্যের গণভোটে নেতিবাচক ফলাফল শুধু ব্রিটিশ ইস্যুÑ এমনটা ভাবা হবে সর্বনাশা ভুল। প্রতিদিন লাখো ইউরোপিয়ান নিজেদের যে প্রশ্নগুলো করে থাকেন, সেসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মরিয়া প্রচেষ্টা হলো ব্রেক্সিট ভোটাভুটি। এসব প্রশ্ন হলো নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, তাদের অঞ্চল, নিজ স্বার্থ, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও জীবনযাত্রা সুরক্ষা সম্পর্কিত। টাস্ক আরও লিখেন, ইউরোপের জনগণ জানতে চায় রাজনৈতিক এলিটরা কী সেসব ঘটনা ও প্রক্রিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম কিনা, যেগুলো তাদের বিহ্বল, দিগভ্রান্ত ও মাঝে মাঝে আতঙ্কিত করে। শুধু যুক্তরাজ্যেই নয়, আজ অনেক মানুষ মনে করছে, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্যতা। এএফপি, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নতুন পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে আলোচনা শুরু
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ