Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসরায়েলি বর্বরতা ও হামাসের পাল্টা জবাব নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় উত্তাপ

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২১, ৩:০০ পিএম

ফিলিস্তিনের গাজায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দখলদার রাষ্ট্রটির গেল কয়েকদিনের বোমা হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৪৮ জন নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনই শিশু। ইসলায়েলির মানবতাবিরোধী এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ ঝড় বইছে বিশ্বব্যাপী। মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই আগ্রাসন রুখে দেওয়ার ডাক উঠেছে নেট দুনিয়ায়।

এদিকে ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখার সাহসী প্রতিরোধের খবর ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। সংগঠনটি ইহুদিবাদী ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে ব্যাপকভাবে রকেট হামলা চালিয়েছে। রয়টার্স ও বিবিসি বলছে, মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে শুরু করে বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৩০টির বেশি রকেট হামলা ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল। হামাসের এই সাহসী জবাব ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যকার এই সংঘর্ষে ৬ ইসরায়েলিও মারা গেছে বলে জানা গেছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজা থেকে তাদের বিভিন্ন স্থাপনায় ১৫০০ রকেট ছোড়া হয়েছে।

ঐক্যবদ্ধভাবে ইহুদিবাদী এই আগ্রসন রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে মাসুম বিল্লাহ লিখেছেন, ‘‘আমি মনে করি এখনি সময় মুসলমান দেশগুলোর একসাথে হওয়ার। এখনই সময় ওই ইহুদী-নাসারাদের শায়েস্তা করার। এখন সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধভাবে হাতে হাত মিলিয়ে মুসলমানেরা সামনে এগিয়ে যাওয়ার। এখনো সময় হয়েছে মুসলমানেরা ঐক্যবদ্ধভাবে সামনের পথ চলার।’’

হামাসের প্রশংসা করে মোঃ আলামিন লিখেছেন, ‘‘বিশ্বের এক নম্বর আকাশ পথের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শক্তিশালী দেশ হলো ইসরাইল। সেই শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে দিল হামাস। আসলে ইরান এবং কাতার ছিলো এর নেপথ্যে। কোন কিছুই স্থায়ী প্রযুক্তি না। প্রতিদিন বদলায়। ইরান এখন সব থেকে এগিয়ে। ইসরায়েলের আয়রন ডোন আর কাজে আসছে না। বিলিয়ন ডলার প্রজেক্ট সামান্য রকেট হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ। হামাস যদি রকেটের জায়গায় মিসাইল ছুড়তো, তাহলে কি অবস্থা হতো?? ইরান এবং কাতারের মত অন্যান্য ইসলামি পরাশক্তি গুলোরও উচিত ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো। আতংক ছড়িয়ে দিতে হবে ইহুদী শিবিরে। ভবিষ্যতে তাহলে আর এরা সাহস পাবেনা।’’

মুসলিম বিশ্বের নিরবতা নিয়ে শেখ আলী হুসাইন লিখেছেন, ‘‘দখলদার, সন্ত্রাসী, জঙ্গি রাষ্ট্র ইসরাইল ইচ্ছা করেই একতরফাভাবে নিরীহ ফিলিস্তিনের মানুষদের হত্যা ও তাদের জায়গা দখল করছে অথচ তুরস্ক বাদে বাকি মুসলিম বিশ্বের নেতারা নিরব, নিজেরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য।’’

ইহুদিবাদী আগ্রাসন রুখে দিতে মুসলমানদের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে আবু ইসা লিখেছেন,‘‘আরব বিশ্ব যদি এক হয় তাহলে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করা সম্ভব এবং প্যালেস্টাইন মুক্ত হবে ইহুদিদের কাছ থেকে। তা না হলে সম্ভব না। আর এই অবস্থায় ফিলিস্তিনিদের একটু সাহায্য করলেই তারা জীবনের বিনিময়ে হলেও প্যালেস্টাইন রক্ষা করবে।’’

দুঃখ ও ক্ষোভ জানিয়ে মোঃ আরিফ চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘ঘটনা গুলো দেখলে দুঃখ লাগে প্রত্যেক দিন কত ফিলিস্তিনি মুসলিম ভাই-বোনেরা মারা যাচ্ছে অথচ আমরা কিছু করতে পারি না আমাদের সেই শক্তি নেই। কোথায় আজকে আরবের রাজাগুলা বাদশাগুলা তারা কি দেখে না তাদের মুসলিম ভাইয়েরা ইহুদিদের কাছে নির্যাতিত হচ্ছে।’’

ইঞ্জিনিয়ার মোরশেদ সরকার লিখেছেন, ‘‘মুসলিম বিশ্ব চুপ কেন?শুধু তীব্র প্রতিবাদ আর ঘৃণা জানানো কোন মুসলিম দেশের নীতি হতে পারে না।ফিলিস্তিনি মুসলমানদের পক্ষে মুসলিম দেশ গুলোকে থাকতে হবে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে।’’

আল মাহমুদ মহান আল্লাহর কাছে আকুতি জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘হে আল্লাহ এই রমযান মাসে তুমি মুসলমাদের বদর প্রান্তে বিজয় দান করেছো। আর এখনও সেই রমযান মাস।এই মাসে তুমি ফিলিস্তিন মুসলিম ভাইদের বিজয় দান কর।’’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইহুদি

১৮ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ