Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীমান্ত খুলে দিতে প্রস্তুত তুরস্ক

প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, প্রয়োজন হলে সিরিয়ার হাজার হাজার শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দিতে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তায় সরকারি বাহিনী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে গত শুক্রবার থেকে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে। আর এ অভিযান থেকে বাঁচতে হাজার হাজার সিরীয় শরণার্থী তুরস্ক সীমান্তে পালিয়ে এসেছে। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গত শনিবার সেনেগাল থেকে ফেরার পথে বিমানে সাংবাদিকদের এরদোগান বলেন, সিরিয়ার সরকারি বাহিনী আলেপ্পোর একটি অংশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তুরস্ক এখন হুমকির মুখে রয়েছে। তিনি বলেন, তারা যদি আমাদের দরজায় এসে পৌঁছায় এবং তাদের আর কোন উপায় না থাকলে প্রয়োজন হলে আমাদের ভাইদের জন্য দরজা খুলে দেয়া হবে।
তুরস্কের সীমান্তবর্তী প্রদেশ কিলিসের গভর্নর সুলেইমান তাপসিজ গত শনিবার বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় সীমান্ত এলাকায় আসা ৩০ থেকে ৩৫ হাজার শরণার্থীকে সেবা করছে তুরস্ক। ইতোমধ্যে দেশটিতে ২০ থেকে ২৫ লাখ সিরীয় শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। তিনি বলেন, আলেপ্পোতে রাশিয়ার বিমান হামলা ও সিরিয়া সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকলে আরো ৭০ হাজার সীমান্ত এলাকায় আসতে পারে। এএফপির এক সংবাদদাতা জানান, তুরস্কের অনকুপিয়ার সীমান্ত ক্রসিং এলাকায় তৃতীয় দিনের মতো হাজার হাজার শরণার্থী জড়ো হয়েছে। তবে সীমান্ত এখনও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তুরস্কের এক কর্মকর্তা বলেন, তবে জরুরি পরিস্থিতিতে সীমান্ত খোলা হচ্ছে। গত শুক্রবার আহত সাতজনকে তুরস্কে ঢুকতে দেয়া হয়েছে এবং তাদের একজনকে গত শনিবার তুরস্কের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেভলাত কাভুসোগলু গত শনিবার বলেন, সিরীয় শারণার্থীদের জন্য তার দেশ সীমান্ত খুলে রাখার নীতি গ্রহণ করবে।
এর আগে সিরিয়ায় আলেপ্পোর লড়াই থেকে বাঁচতে পালিয়ে গিয়ে তুরস্ক সীমান্তে জড়ো হওয়া শরণার্থীদের ঢুকতে দেওয়ার জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। হাজার হাজার সিরীয় শরণার্থী তুরস্কের কিলিস সীমান্তে জড়ো হয়ে আটকা পড়ে আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মঘারিনি বলেছেন, এটি কোন আইনি দায়িত্ব না হলেও একটি নৈতিক দায়িত্ব, শরণার্থীদের সুরক্ষা দেওয়াটা কর্তব্য। তবে তুরস্ক বলেছে, শরণার্থীরা সিরিয়ার অভ্যন্তরেই খাবার এবং আশ্রয় পাচ্ছে। ফলে তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আলেপ্পোর কাছে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অবস্থানগুলোতে সরকারি হামলার মুখে প্রায় ৩৫ হাজার সিরীয় পালিয়ে গেছে। মঘারিনি বলেছেন, শরণার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ইইউ তুরস্ককে তহবিলও দিচ্ছে। নভেম্বরে তুরস্কের মাটিতে শরণার্থীদের দেখভালের জন্য তুরস্কের সঙ্গে তিনশ’ কোটি ইউরোর চুক্তিও করেছে ইইউ।
তুরস্কে এরই মধ্যে আছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ২৫ লাখ শরণার্থী। গত কয়েকদিন সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে শুরু হওয়া তীব্র লড়াইয়ের পরই লোকজন সেখান থেকে পালাতে শুরু করে। শরণার্থীদের বোঝা সামলাতে হিমশিম তুরস্কের জন্য নতুন করে আসা এ শরণার্থীদের স্রোত আরও কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সীমান্ত খুলে দিতে প্রস্তুত তুরস্ক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ