গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর বায়জীদ থানাধীন শেরশাহ এলাকায় যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ৬ জন আহত হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর কানা কুদ্দুস ও মেহেদী হাসান বাদল গ্রæপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর বায়জীদ থানা যুবলীগের নেতা মেহেদী হাসান বাদল খুনের আসামি কানা কুদ্দুস সন্ধ্যায় কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে রাত ৮টায় নিজের লোকজন নিয়ে ওই এলাকায় মহড়রা দেন। থানার ২ নম্বর জালালাবাদ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন অভিযোগ করেন, তারা মেহেদী হাসান বাদলের গ্রæপের দলীয় একটি অফিসে হামলা চালায়। নাজিম আরও বলেন, অফিসে বসে তিনি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন। এসময় কুদ্দুসসহ হত্যা মামলার আসামীরা তাকে অপদস্ত এবং কয়েকজনকে মারধর করেন।
পরে নাজিম গ্রæপও শোডাউন করলে স্থানীয় মাঠে দুই গ্রæপ মুখোমুুখি অবস্থান নেয়। এরপর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ওই এলাকায় গেলে দুই পক্ষ সরে যায়। বায়েজিদ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মেহেদী হাসান বাদলের খুনের আসামি কানা কুদ্দুস জামিনে বের হয়ে শোডাউন দেয়। অপর পক্ষও তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের হস্তক্ষেপে বড় কোন ঘটনা ঘটেনি। উল্লেখ গতবছর ওই এলাকায় মেহেদী হাসান বাদল খুন হন দলীয় কোন্দলে। এর জের ধরে পুলিশ সম্প্রতি কানা কুদ্দসকে গ্রেফতার করে। তবে জামিনে বের হয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।