বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলার অন্যতম আসামী নূর হোসেনের শ্যালক, কাঁচপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী নূরে আলম খানের সহযোগী টাইগার মোমেন অস্ত্র ও গুলিসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। এতে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানা যায়। অন্যান্য সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে এলাকায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি উঠেছে একালাবাসীর পক্ষ থেকে।
র্যাব-১১ এর একটি দল কাঁচপুর ওলামানগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরে আলম খানের সহযোগী মোমেন বাহিনীর প্রধান টাইগার মোমেনকে গ্রেপ্তার করেছেন। এসময় তার কাছ থেকে ম্যাগাজিন ভর্তি একটি বিদেশী পিস্তল, দুই রাউন্ড তাজা গুলি, দুইশ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। র্যাব জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সংযোগস্থল কাঁচপুর এলাকায় মাদক ব্যবসা, তেলচুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত শতাধিক দুষ্কৃতিকারীদের সমন্বয়ে মোমেন এর নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে, যা এলাকায় ‘মোমেন বাহিনী’ নামে পরিচিত।
র্যাব আরও জানান, এলাকার মূর্তিমান আতঙ্কের নাম এই ‘মোমেন বাহিনী’। এই বাহিনীর ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই সন্ত্রাসী বাহিনী গাড়ি হতে জ্বালানী তেল চুরি, পরিবহনে ছিনতাই ও ডাকাতি এবং মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত। ‘মোমেন বাহিনী’র প্রধান সাব্বির হোসেন মোমেন ওরফে টাইগার মোমেন (৩১) নিজেকে কখনও র্যাব, আবার কখনও পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে তার অপরাপর সহযোগীদের যোগসাজশে অভিনব কৌশলে মহাসড়কে ছিনতাই ও ডাকাতি করে। হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদকসহ প্রায় ডজনখানেক মামলার আসামী টাইগার মোমেন।
টাইগার মোমেনের শেল্টার দাতা হিসেবে রয়েছেন সাত হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত প্রধান আসামী নূর হোসেনের শ্যালক নূরে আলম খান। নূরে আলম খান কাঁচপুর এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছেন। সাত হত্যার ঘটনার সময় নুরে আলম খান এলাকা থেকে দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার কয়েক বছর পর এলাকায় এসে বীরদর্পে বিভিন্ন অপকর্ম চালাচ্ছেন। মোমেনসহ ২৫/৩০ জনের একদল স্বসস্ত্রবাহিনী তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কাঁচপুর এলাকার অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হোসেন মামলার বাদী মান্নান মিয়া জানান, আমার ভাই ইসমাইল হোসেন অপহরণ ঘটনায় নূরে আলম খান ও তার সহযোগীরা সরাসরি জড়িত রয়েছে। এ বিষয়ে মামলা করার পর আমাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে নূরে আলম খান ও তার সহযোগীরা। এতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ন্যায় বিচার পাব কিনা এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছি। সোনারগাঁ থানার ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলাম জানান, অস্ত্র, গুলিসহ সন্ত্রাসী মোমেনকে র্যাব গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করেছে। রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার শেল্টারদাতা যারাই হোক না কেন, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।