মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের পশ্চিম বাংলার সোন্ডালিয়া স্টেশনে ঈদের দিন গোশত নিয়ে ট্রেনে ওঠায় ৩ শিশু ও ৪ মহিলাকে চলন্ত ট্রেন থেকে লাথি মেরে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই আরপিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই শিশুসহ সাত জন। ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষী রেল পুলিশদের শাস্তির দাবিতে সোন্ডালিয়া স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করে ঘণ্টা দু’য়েক ধরে বিক্ষোভ পালন করে স্থানীয় বাসিন্দারা। গত মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পূর্বরেলের বারাসত-হাসনাবাদ শাখার সোন্ডালিয়া স্টেশনে। অবশেষে দোষী রেল পুলিশদের গ্রেপ্তারের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়া হলে রাত দশটা নাগাদ অবরোধ উঠে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সোন্ডালিয়া গ্রামে কোরবানির গোশত আনতে গিয়েছিলেন হাড়োয়া এলাকার চারজন মহিলা। তাদের সঙ্গে তিনটি শিশুও ছিল। গোশত নিয়ে সন্ধ্যা সাতটা পনেরো মিনিটের ট্রেনে চড়ে হাড়োয়ায় ফিরছিলেন তারা। সকলেই একটি মহিলা কামরায় উঠেছিলেন। সে সময় কর্তব্যরত দুই রেল পুলিশ মহিলাদের প্যাকেটে কী আছে, তা জানতে চান। প্যাকেট খুলে পরীক্ষাও করেন তারা। অভিযোগে বলা হয়, প্যাকেটের মধ্যে গোশত দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রেল পুলিশের কর্মীরা। জোর করে তাদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ওই মহিলারা ট্রেন থেকে নামতে অস্বীকার করেন। এরপর এক রেল পুলিশ মঞ্জিলা বিবি, হাসিনা বিবি, মনোয়ারা বিবি এবং রেহানা খাতুন নামে এক প্রতিবন্ধী মহিলাকে তাদের সঙ্গে থাকা শিশুসহ চলন্ত ট্রেন থেকে লাথি মেরে প্লাটফর্মে ফেলে দেয়। মঞ্জিলা বিবি নামে এক মহিলার কোল থেকে পাঁচ বছরের এক শিশু ছিটকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়। এছাড়া আরো দুই শিশু এবং তিনজন মহিলা কমবেশি আঘাত পেয়েছেন বলে জানা যায়। তাদের স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায় স্টেশন চত্বরে। ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত রেল পুলিশকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাত আটটা দশে ডাউন হাসনাবাদ লোকাল স্টেশন আটকে রেখে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক ধরে চলে বিক্ষোভ। বন্ধ হয়ে যায় রেল চলাচল। নাকাল হন যাত্রীরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় প্রশাসন এবং দেগঙ্গা থানার পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে আসেন রেল পুলিশের কর্মকর্তারা। জিআরপি’র বারাসত থানার ওসি দীপক কুমার পাইক জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।