মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়নমারের নেত্রী অং সান সু চি মার্কিন কোম্পানিগুলোকে মিয়ানমারে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তার দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হলে জনগণ ও ক্ষমতাধর সামরিক শক্তিকে আয়ত্বে আনা যাবে এবং দীর্ঘ সামরিক শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট দেশটি সুন্দরভাবে গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অর্ধ শতাব্দী ধরে সামরিক সরকার শাসিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির ওপর থেকে দীর্ঘ দিনের অবরোধ তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরদিন সু চি বৃহস্পতিবার মার্কিন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান। সু চি বলেন, আবরোধ তুলে নেয়ার কারণে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কিছু চাপ পড়তে পারে, তবে এখনই সময় আমাদের জনগণকে নিজেদের ওপর নির্ভরশীল হওয়া। ওবামার সহকারী বেন রোডস জানান, মিয়ানমারের প্রতি তথাকথিত জাতীয় জরুরি অবস্থা বিবেচনা করে অবরোধ তুলে নেয়ার যে কথা বলা হয়েছে তা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে। গত বুধবার ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে সু চির সঙ্গে বৈঠকে ওবামা একথা জানান।
মিয়ানমারে গত বছর বিপুল ভোটে নিজ দলের জয়ের মধ্য দিয়ে সু চি জাতীয় নেতা হওয়ার পর ওবামার সঙ্গে এটিই ছিল তার প্রথম বৈঠক। মিয়ানমারে দীর্ঘ সময় ধরে বহাল থাকা যেসব নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেসবই এখন তুলে নেয়ার সময় হয়েছে বলে বৈঠকে জানান সু চি। এদিকে, ওবামাও মিয়ানমারের জনগণের জন্য এখন নিষেধাজ্ঞা তোলার পদক্ষেপ নেয়াটাই সঠিক কাজ বলে মন্তব্য করেন। সামরিক শাসনামলে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এখন মিয়ানমারে সামরিক শাসনের অবসান ঘটে সু চি বিরোধীদলীয় নেত্রী থেকে দেশনেত্রী হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র দেশটির সঙ্গে আবার সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী। আর সে কারণেই মিয়ানমারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র এ বছরের শুরুর দিকে মিয়ানমারে রাজনৈতিক সংস্কার কাজে সহায়তার জন্য দেশটির ওপর আরোপিত বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করলেও অনেক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাই বহাল রাখে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিয়ানমার সরকারে বিঘœ সৃষ্টিকারীদের শাস্তি দিতেই এসব নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়। মিয়ানমারে ৪৯ বছরের শাসনের পর ২০১১ সালে সরাসরি শাসন থেকে সরে যায় সেনাবাহিনী। তবে এর পরও রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর প্রভাব রয়ে যায় অনেকটাই। পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসন এবং গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয়ই রয়ে যায় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। সেনা-সমর্থিত খসড়া সংবিধান অনুযায়ী, সু চি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। এর বদলে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।