মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনায় আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। আর এদিকে গরুদের জন্য অক্সিমিটার-থার্মাল স্ক্যানার পাঠাচ্ছে প্রশাসন। ভারতের উত্তরপ্রদেশের সরকারি গোশালায় এসব চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাচ্ছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। পরে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দফতর থেকে দাবি করা হয়, গোশালায় কর্মরত কর্মীদের জন্যই এসব চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে যোগী আদিত্যনাথের দফতর জানায়, প্রত্যেক জেলায় সরকারি গোশালায় গরুদের দেখভালের জন্য হেল্পডেস্ক তৈরি করা এবং গরুদের সুরক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসনগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। সরকারি ফরমান অনুযায়ী, প্রতিটি গোশালায় কোভিড বিধি মানতে হবে। সেখানে মাস্ক পরা, থার্মাল স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক। একইসঙ্গে নির্দেশ, গোশালার গরুদের জন্য চিকিৎসা সামগ্রী যেন পর্যাপ্ত থাকে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিচার করে প্রত্যেক জেলায় ৭০০টি হেল্পডেস্ক তৈরি করা হয়েছে গরুদের কল্যাণের জন্য। ৫১টি অক্সিমিটার, ৩৪১টি থার্মাল স্ক্যানার পাঠানো হয়েছে গরুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। রাজ্যের বিপুল সংখ্যক ভবঘুরে গবাদি পশুকে সরকারি গোশালায় আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। গোশালার সংখ্যাও দ্রুত বাড়ানো হচ্ছে। রাজ্য সরকারের এমন বিবৃতির পরই সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচকরা বলছেন, যেখানে মানুষ ঠিকমতো চিকিৎসা সরঞ্জাম পাচ্ছে না, সেখানে গরুর জন্য রীতিমতো তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার। মানুষকে উপেক্ষা করে গরুর জন্য অক্সিমিটার, থার্মাল স্ক্যানানের মতো সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। এমন সমালোচনার মুখেই পরে ভোল বদলায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। দাবি করা হয়, গরুর জন্য নয় বরং গোশালার কর্মীদের জন্যই পাঠানো হয়েছে এসব চিকিৎসা সামগ্রী। করোনা ঠেকাতে ভিন্ন রকমের এক সমাধান দিয়েছেন উত্তপ্রদেশের বালিয়া জেলার বইরিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং। করোনা ঠেকাতে তিনি শুধু গোমূত্র পানের পরামর্শ দিয়েই ক্ষান্ত হননি। কখন, কিভাবে পান করা উচিত, তাও বাতলে দিয়েছেন ক্যামেরার সামনে। বিজেপি দলীয় এই বিধায়ক বলেন, করোনা ঠেকানোর অব্যর্থ ওষুধ হলো গোমূত্র। এটি শুধু করোনাই ঠেকাবে না, বরং শরীরও সুস্থ রাখবে। ক্যামেরার সামনে এই বিজেপি নেতা বলেন, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে গোমূত্র পান করতে হবে। দুই-তিন চামচ গোমূত্র এক গ্লাস পানিতে মেশাতে হবে। তারপর একবারে সেই গোমূত্র মেশানো পানি খেয়ে নিতে হবে। গোমূত্রের এই মিশ্রণ খাওয়ার আগে একটি বিশেষ নিয়মের কথা বলেছেন ওই বিধায়ক। তার দাবি, গোমূত্র পানের আধা ঘণ্টা পর্যন্ত কোনও কিছু খাওয়া বা পান করা যাবে না। সুরেন্দ্র সিং বলেন, বিজ্ঞানে বিশ্বাস করুন আর না করুন, গোমূত্র করোনা রুখতে সক্ষম। শুধু করোনা নয়, হৃদপিন্ডের রোগ সারাতেও এটি ভীষণ উপকারী। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।