Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লেবাননে সিরীয় উদ্বাস্তু নারীদের করুণ দশা

প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : নামমাত্র টাকায় বিকিয়ে যায় তারা। কয়েক ঘণ্টার ফূর্তি এবং তারপরেই তালাক দিয়ে ওদের ছুড়ে ফেলা যায়। ইচ্ছে মতো ধর্ষণ করা যায়, কিংবা আবার অন্য কারও কাছে বিক্রি করে দেওয়া যায় যৌনদাসী হিসেবে। ওরা সিরিয়া থেকে লেবাননে পালিয়ে আসা উদ্বাস্তু। কেউ সদ্য কৈশোরে পা রেখেছে, কেউ এখনও শিশু। বয়স ৬ থেকে ১৫-এর মধ্যে। ওই বয়সের আর পাঁচটা ছেলে যখন স্কুলে যায়, ওরা তখন খেত থেকে আলু তোলে, তামাক পাতা নিয়ে আসে, গ্যারাজে কাজ করে, ময়লা কুড়োয়। আর কারও নজরে পড়ে গেলে প্রাণ বাঁচাতে যৌনদাসী হতে হয়। আইএস হাত থেকে বাঁচতে দলে দলে সিরীয় উদ্বাস্তু পরিবার উত্তর সীমান্ত ঘেঁষা লেবাননের গ্রামে আর রাজধানী বৈরুতে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু পুঁজি ফুরোলেও দেশে ফিরে যাওয়ার কোনও উপায় নেই। আবার লেবাননে সংগঠিত কর্মক্ষেত্রে উদ্বাস্তুদের চাকরি করাও বেআইনি। অগত্যা, পেটের জ্বালায় শিশুদেরও কাজে পাঠাতে বাধ্য হয় বাবা-মায়েরা। একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিশেষ সমীক্ষায় লেবাননের আশ্রয় শিবিরে সিরীয় মেয়েদের যে ভয়াবহ দুর্দশার ছবি তুলে ধরেছে, তাতেই শিউরে উঠছে তামাম দুনিয়া। টাকা আর নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে মেয়েকে বেচে দিচ্ছে বাবা-মায়েরাই। তিন বছর আগে পরিবারের সঙ্গে সিরিয়া থেকে লেবাননে পালিয়ে এসেছিল ১২ বছরের হুরিয়া। কিন্তু রেহাই মিলল না সেখানেও। তাকে ক্রমাগতই উত্যক্ত করত স্থানীয় এক যুবক। মেয়েকে বাঁচানোর কোনও উপায় না পেয়ে, সেই ছেলের সঙ্গেই তার বিয়ে দিতে চায় হুরিয়ার বাবা। হুরিয়াকে উদ্ধার করে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লেবাননে সিরীয় উদ্বাস্তু নারীদের করুণ দশা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ