মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনা রকেট লং মার্চ ফাইভ বির ধ্বংসাবশেষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছুটে আসছে ভূপৃষ্ঠে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এটা সাগরে বা জনশূন্য স্থানে পড়তে পার। তবে এ নিয়ে বিপদজনক তথ্য দিয়েছে ইতালিয়ান মহাকাশ সংস্থা। এর ভিত্তিতে ইতালির ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে জরুরি সতর্কবার্তা জারি করেছে সরকার।
এই বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রের অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সংস্থার বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করে জাতীয় জননিরাপত্তা সংস্থা সিভিল প্রটেকশন ডিপার্টমেন্টে।
চীনা লং মার্চের ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাব্য সময়কাল ৯ মে রবিবার ইতালির স্থানীয় সময় ভোর ২টা ২৪ মিনিট অর্থাৎ ৮মে শনিবার দিবাগত রাতে। তবে ধেয়ে আসা খণ্ডিত রকেটের সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের ঘর্ষণ এবং সূর্যের প্রভাব জনিত প্রাসঙ্গিক কারণে সম্ভাব্য অঘটন ৬ ঘণ্টা আগে পরেও হতে পারে।
ইতালির আংশিক মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় সবকটি বিভাগে 'এলার্ট' জারি করে শনি-রবিবার জনগণকে যার যার আবাসস্থলে বা অফিস ভবনে বদ্ধ জায়গায় থাকতে বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বিভাগ সমূহ হচ্ছে উমব্রিয়া, লাৎসিও, আবরুৎসো, মোলিসে, কামপানিয়া, বাসিলিকাতা, পুলিয়া, কালাব্রিয়া, সিচিলিয়া ও সার্দেনিয়া। এসব বিভাগের জনগণকে যার যার অবস্থানে কাঁচের দরজা জানালা থেকেও নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলা হয়েছে।
শুক্রবারের জরুরি সভার টেকনিক্যাল টেবিলে যোগ দেন ইতালিয়ান মহাকাশ সংস্থা (স্পেস এজেন্সি) ছাড়াও মন্ত্রী পরিষদের সামরিক উপদেষ্টা পরিষদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট, বিমান বাহিনী, সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি এবং জাতীয় পরিবেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন সব বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক রবিবার পর্যন্ত সামগ্রিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রেখে।
ইতালিয়ান সিভিল প্রটেকশন ডিপার্টমেন্ট আরও জানিয়েছে, সম্ভাব্য বিপদজনক এই সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার যেকোনো ভবনের নিচের তালাসমূহ তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বলে বিবেচিত হবে। নিচতলায় কিংবা আন্ডারগ্রাউন্ডে কংক্রিটের প্রশস্ত দেয়াল আছে এমন যেকোনো স্থান এবং ভবনের পিলারের আশপাশের এরিয়া যে কারো জন্য হতে পারে নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
রকেটের ধ্বংসাবশেষের ছোট ছোট অংশ ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার সময় দিনের আলোতে খালিচোখে দেখতে পাবার সম্ভাবনা একেবারে কম। ধ্বংসাবশেষের বড় বড় অংশই টিকে থাকতে পারে ভূপৃষ্ঠে আঘাত হানার সময়। রকেটের ধ্বংসাবশেষ পতিত হবার পর কোথাও কারো দৃষ্টিগোচর হলে তা স্পর্শ না করতে কঠোর হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে এবং ন্যূনতম ২০ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে প্রশাসনকে দ্রুত জানাতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।