পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী-মধ্যপাড়া-রংপুর মহাসড়কসহ উপজেলার প্রতিটি ছোটবড় পাকা রাস্তা এখন কৃষকদের ধান-ভুট্টা মাড়াই ও খড় শুকানোর চাতালে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি সড়কের ওপর ধান ও খড়ের পালা। সারাক্ষণ চলছে ধান ও ভুট্টা মাড়াইয়ের কাজ। সড়কজুড়ে শুকানো হচ্ছে ভুট্টা, ধান ও খড়। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় হতাহতের ঘটনা। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে টেম্পো, অটো রিকশা, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল আরোহীরা।
ফুলবাড়ী-মধ্যপাড়া-রংপুর মহাসড়কে চলাচলরত গাড়িচালক ও যাত্রীদের অভিযোগ, প্রতি বছর ভুট্টা ও বোরো মৌসুমে সড়কটি দখলে থাকে সড়কের আশপাশের গ্রামের কৃষকদের। সড়কটির ফুলবাড়ী থেকে মধ্যপাড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে গত বছর ১৫ থেকে ২০ জন দুর্ঘটনায় হতাহতের শিকার হয়েছেন। এ বছর ১৭টি দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলবাড়ী থেকে মধ্যপাড়া পর্যন্ত অন্তত ১৫ কিলোমিটার সড়কজুড়ে দলদলিয়া ডাঙ্গাপাড়া, মহেষপুর, তেতুলিয়া, চিলাপাড়া, ভাগলপুর, ভালকা জয়পুর, মহিষবাতান, রসুলপুরসহ প্রায় ১০ গ্রামের কৃষকরা পুরো সড়কটি দখলে নিয়ে মাঠ থেকে ধান কেটে মহাসড়কের ওপর পালা করে যন্ত্র দিয়ে ধান মাড়াই করছেন। ধান মাড়াই শেষে সড়কজুড়ে ধান ও খড় শুকানো হচ্ছে। এতে বিশাল প্রশস্তের মহাসড়কটি এখন সরু সড়কে পরিণত হয়েছে। সেই সরু সড়কের ফাঁক-ফোকড় দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে ছোটবড় যানবাহন। তবে করোনাভাইরাসের প্রভাবে বড় যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল সীমিত হওয়ায় এই হতাহতের সংখ্যা অনেক কম। কয়েকজন কৃষক বলেন, আগের মতো আর ফাঁকা জায়গা না থাকায় সড়কে মাড়াই করে শুকিয়ে নিচ্ছেন।
সড়কে চলাচলরত মোটরসাইকেল আরোহী ও ট্রাক চালকরা জানান, সড়কটিতে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কারণে প্রচুর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। মাঝে মধ্যে ছোট-বড়ো দুর্ঘটনাও ঘটছে। বড়পুকুরিয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, বার বার নিষেধ করার পরেও তারা কথা মানছেন না। তবে বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।