মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নারীদের মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী হতে যাচ্ছেন মেলিন্ডা গেটস। ধারণা করা হচ্ছে, বিল গেটসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তার নামে ৭ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদ জমা হবে। এতদিন মেলিন্ডা গেটস নামে পরিচিত হলেও বিল গেটসের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণার পর স¤প্রতি নিজের নামের মাঝে ফ্রেঞ্চ শব্দটি ফিরিয়ে এনেছেন তিনি।
গত সোমবার ওয়াশিংটনের সিয়াটলের কিং কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টে মেলিন্ডা ও বিল গেটসের বিচ্ছেদের আবেদন দায়ের করা হয়। সেখানে মেলিন্ডা জানিয়েছেন, মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে তিনি বিয়ে করেছিলেন, যিনি পৃথিবীর শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। তাদের সম্পর্কটি অপ্রত্যাশিতভাবে ভেঙে গেছে। তিনি আদালতকে তাদের যৌথ মালিকানার ১৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের সম্পদ ভাগাভাগি করে দিতে বলেন। বিচ্ছেদ হলে তাদের যৌথ মালিকানার সম্পদের সমান ভাগ হবে। কারণ ওয়াশিংটন রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী বিচ্ছেদের পর দম্পতিদের মধ্যে সম্পদ সমানভাবে ভাগ করা হয়। তবে আইনজীবীরা বলছেন, আদালত চাইলে পুরোপুরি অর্ধেক করে ভাগ না করে কিছু কম-বেশিও করতে পারেন।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী নারী ফ্রাংকয়েজ ব্যাটেনকোর্ট মেয়ার্সের সম্পদের পরিমাণ ৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। বিচ্ছেদ ও সম্পদ ভাগাভাগির পর মেলিন্ডা বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী নারী হিসেবে পরিচিত হবেন। কারণ তখন তার সম্পদের পরিমাণ হবে ৭ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। এ দম্পতি বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়ায় প্রথম যে প্রশ্নটি জনমনে উঠেছে, সেটি হলো বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তারা যে জনহিতকর কাজগুলো করতেন, সেগুলোর কী হবে? এ বিষয়ে কৌত‚হলের জবাবও দিয়েছেন তারা। জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে বিচ্ছেদ হলেও দাতব্য সংস্থার ভবিষ্যৎ প্রশ্নে কোনো আপস করবেন না তারা।
ফাউন্ডেশনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিল ও মেলিন্ডা দুজনেই সংস্থাটির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সংস্থায় তাদের দায়িত্বের কোনো পরিবর্তন আসবে না। যেভাবে এতদিন কাজ করে গেছেন, বিচ্ছেদের পরেও সেভাবে কাজ করে যাবেন তারা। তবে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রব রিচ বলেন, যেহেতু এ ফাউন্ডেশন একটি পারিবারিক সংস্থা। আর বিচ্ছেদের মাধ্যমে সেই পরিবারটিই ভেঙে যাচ্ছে। তাই এটা বলাই যায়, বিশ্বজুড়ে ফাউন্ডেশনের যে কাজগুলো হয়, তার ওপর এর একটি প্রভাব পড়বে। সিয়াটলভিত্তিক বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশনের কর্মী সংখ্যা ১ হাজার ৬০০। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্বের ১৩৫টি দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে ফাউন্ডেশনটি ৫ হাজার কোটি টাকা দান করেছে। এ দাতব্য সংস্থাটির মূল লক্ষ্য বিশ্বের স্বাস্থ্যসেবা খাত ও শিক্ষার উন্নয়ন এবং লিঙ্গসমতা। পোলিওর মতো কিছু রোগ চিরতরে নির্ম‚ল করতেও কাজ করছে সংস্থাটি। পাশাপাশি তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদেরও সহায়তা দিয়ে থাকে। গত বছর করোনাভাইরাসজনিত রোগ খাতে ওষুধ, পিপিই ও টিকার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ১৮০ কোটি ডলার সহায়তা দেয় ফাউন্ডেশনটি। এ দম্পতির মোট সম্পদ এসেছে মাইক্রোসফটের অংশীদারিত্ব থেকে। তবে এখন তাদের মোট সম্পদে মাইক্রোসফটের শেয়ার ২৯ শতাংশেরও কম। বেশির ভাগ সম্পদ বিভিন্ন সময়ে তারা গেটস ফাউন্ডেশনে স্থানান্তর করেছেন। ফলে মাইক্রোসফটে বিল গেটসের ঠিক কতটুকু অংশ আছে তা জানা যায়নি।
বিল গেটসের সবচেয়ে বড় সম্পদের নাম ক্যাসকেড ইনভেস্টমেন্ট। মাইকেল লারসন ব্যবসাটি পরিচালনা করেন। তবে বিল গেটসের প্রধান আগ্রহের বিষয় আবাসন, জ্বালানি ও সেবা খাত। ক্যাসকেড মেলিন্ডার নামে ১ কোটি ৪১ লাখ শেয়ার স্থানান্তর করেছে। যার মূল্য প্রায় ২০০ কোটি ডলার। এখন বিল গেটসের মালিকানায় আছে ৮ কোটি ৭৩ লাখ শেয়ার। এছাড়া বিল ও মেলিন্ডা দুজনে মিলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি ভ‚মির মালিকও। এর মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটনের মেডিনায় অবস্থিত ৬৬ হাজার বর্গফুটের বাড়িও। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।