পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুইজন। তাদের মধ্যে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় মার্লিন ম্যান্ডেজ নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ম্যাক্সওয়েল ম্যান্ডেজকে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে আটক করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় বাসার একটি রুম থেকে ফাঁস দেওয়া মার্লিন ম্যান্ডেজকে উদ্ধার করে তার স্বামী তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসেন। দুপুর সোয়া ২টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী ম্যাক্সওয়েল ম্যান্ডেজ বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে আমার কোনো ঝগড়া বা কথা কাটাকাটি হয়নি। এক বছর হলো আমরা বিয়ে করেছি। গত ৪০ দিন আগে তার চাচাত বোন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। এরপর থেকে তিনি ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন।
ম্যাক্সওয়েল ম্যান্ডেজ আরও বলেন, আমি একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির পিয়ন পদে চাকরি করি। আমার স্ত্রী গুলশানে ফার্জি ক্যাফেতে চাকুরি করেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় আমি ঘুম থেকে উঠে তাকে বিছানায় পাইনি। পরে টয়লেটে গেছে কি না দেখলাম। পরে দেখি আমার মায়ের রুমে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে এলে ডাক্তার জানান তিনি আগেই মারা গেছেন।
মার্লিন ও ম্যাক্সওয়েল রাজধানীর বাড্ডা থানার গুদারাঘাট এলাকার ১০ নম্বর রোডের ৫১/১ নম্বর বাসার ৫ তলায় ভাড়া থাকতেন। মার্লিনের সঙ্গে তার শাশুড়ি থাকতেন। ৩ বোনের মধ্যে মার্লিন সবার ছোট ছিলেন। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার সদর থানার লালপুর গ্রামে। তিনি ওবিট ম্যান্ডেজের মেয়ে।
এদিকে, গত মঙ্গলবার রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় চলন্ত রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে নাদিম হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের আত্মীয় নাহিদুর রহমান বলেন, নাদিম রিকশায় করে ধানমন্ডির মেট্রো শপিং কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে চলন্ত রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে তিনি মাথায় আঘাত পান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে নাদিম কীভাবে রিকশা থেকে পড়ে গেল বা পেছন থেকে কোনো গাড়ি ধাক্কা দিয়েছিল কি-না সে বিষয়ে কিছু জানি না।
নিহত নাদিম শুক্রাবাদ এলাকায় ভাড়া থাকতেন। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানার দিলসাধপুর গ্রামের মাহমুদ ভুঁইয়ার ছেলে। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ দুটি ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।