নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিক ব্যর্থতার হতাশা কাটাতে চান বাংলাদেশের কৃতি গলফার সিদ্দিকুর রহমান। গেল দু’মাসে তিনটি আসরে চরম ব্যর্থ হয়েছেন সিদ্দিকুর। রিও অলিম্পিকে খেলতে যাওয়ার ক’দিন থাইল্যান্ডের কিংস কাপে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরমেন্স করতে পারেননি তিনি। জুলাইয়ের শেষ দিকে থাইল্যান্ডের পর্যটন নগরী পাতায়ায় অনুষ্ঠিত হয় কিংস কাপ গলফ টুর্নামেন্ট। প্রথম রাউন্ডে দুর্দান্ত শুরুর পর দ্বিতীয় রাউন্ডেই হোঁচট খান বাংলাদেশের সেরা গলফার। ১৯তম স্থান থেকে প্রথম রাউন্ড শেষে করলেও পরের রাউন্ডেই বিদায় নেন তিনি। দ্বিতীয় রাউন্ডে পারের চেয়ে সাত শট বেশি নিয়েছিলেন সিদ্দিকুর। সবমিলিয়ে পাঁচ শট নিয়ে কিংস কাপ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। দ্বিতীয় রাউন্ডে কোনো বার্ডিরই দেখা পাননি সিদ্দিকুর! পাঁচ বগি ও একটিতে ডাবল বগি করে সবমিলিয়ে ওভার পার সেভেন স্ট্রোক (৭৭ শট) খেলেছিলেন তিনি। যেটা কোনো এক রাউন্ডের খেলায় মৌসুমের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স ছিল এই কৃতি গলফারের।
থাইল্যান্ডে মানসিকভাবে অস্থিরতা ছিল ভেবে দেশে ফিরে মনোবিদ ডা. আলী খানের শরনাপন্ন হন সিদ্দিকুর। রিও অলিম্পিকে খেলতে যাওয়ার আগে এই মনোবিদের সঙ্গেই কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে অনুশীলনও করেন। কিন্তু দূর্ভাগ্য তার। কিছুতেই কিছু হলো না। রিও অলিম্পিকেও তেমন সাফল্য পেলেন না। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে সরাসরি অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও জাতিকে হতাশই করলেন সিদ্দিকুর। ব্রাজিলে প্রথম রাউন্ডে কিছুটা ভালো করলেও ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়তে থাকেন তিনি। চতুর্থ বা শেষ রাউন্ডে ফ্রন্ট নাইন ও ব্যাক নাইনের খেলা বোগি (পারের চেয়ে এক শট বেশি) দিয়েই শুরু করেন সিদ্দিকুর। নির্ধারিত ১৮ হোল শেষ করেন ৭টি বোগি এবং তিন বার্ডিতে। চতুর্থ রাউন্ডও ৭৫ শটে খেলে সবমিলিয়ে পারের চেয়ে ১১ শট বেশি নিয়ে ৫৯ জন প্রতিযোগির মধ্যে ৫৮তম স্থান পেয়ে রিও’র ব্যর্থ মিশন শেষে দেশে ফেরেন তিনি।
ব্যর্থতার এখানেই শেষ নয়। ব্রাজিল থেকে ফেরার পর সুইজারল্যান্ডে ওমেগা ইউরোপিয়ান মাস্টার্সে খেলতে যান সিদ্দিকুর। সেখানেও সফলতার মুখ দেখেননি। প্রথম দুই রাউন্ড খেলেই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েন লাল-সবুজের সেরা গলফার। সুইজারল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ক্রান্স মন্তানা শহরের ক্রান্স সুর সিয়েরে গলফ ক্লাবে আয়োজিত ২৭ লাখ সুইস ক্রোনার (৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রাইজমানির টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় রাউন্ডে পাঁচটি বার্ডির বিপরীতে চারটি বোগি ও একটি ডাবল বোগি করেন সিদ্দিকুর। দুই রাউন্ড মিলিয়ে পারের চেয়ে চার স্ট্রোক বেশি নিয়ে যৌথভাবে ১১১তম হয়ে আসর থেকে ছিটকে পড়েন। তবে তবে এবার ঘুরে দাঁড়াতে চান ৩১ বছর বয়সী এই গলফার। নিজের হারানো সাফল্য ফিরে পেতে মরিয়া ২টি এশিয়ান ট্যুর শিরোপাজীয় সিদ্দিকুর। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর জাপানের ওয়েস্ট কোর্সে শুরু হবে এশিয়া প্যাসিফিক ডায়মন্ড কাপ গলফ টুর্নামেন্ট। এ আসরেই স্বরুপে ফিরতে চান তিনি। সিদ্দিকুর বলেন, ‘কেন ব্যর্থ হচ্ছি তা বুঝতে পারছি না। সব সময়ই অনুশীলন করছি। কিন্তু এরপরও কেন পারফরম্যান্স এমন হতাশাজনক। মানসিক অস্থিরতা উন্নতির জন্য চিকিৎসাও নিয়েছি। তারপরও ফল পাচ্ছি না। ব্যর্থতা কাটাতে হবে। আমার মনে হয় সব ঠিক হয়ে যাবে। এ জন্য সময় পার করতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘২২ সেপ্টেম্বর জাপানের ইবারাকি কাউন্টি ক্লাবের ওয়েস্ট কোর্সে শুরু হবে এশিয়া-প্যাসিফিক ডায়মন্ড কাপ গলফ টুর্নামেন্ট। সেখানে ভালো করতেই হবে। আশাকরছি জাপানেই নিজের পারফরম্যান্সের উন্নতি ঘটাতে পারবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।