গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর বংশালের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসের সামনে এক রিকশাচালককে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভুক্তভোগী রিকশাচালককে নির্যাতনকারী ওই ব্যক্তির নাম মো. সুলতান আহমেদ। তিনি পেশায় বাচ্চাদের বাইসাইকেল ব্যবসায়ী। রাজনৈতিক কোনো পরিচয় না থাকলেও বংশাল এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী হওয়ায় যথেষ্ট প্রভাবশালী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, প্রথমেই সুলতান আহমেদ ওই রিকশাচালককে থাপ্পড় মারেন। বয়স্ক রিকশাচালক প্রতিবাদ করলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে এলোপাথাড়ি থাপ্পড় মারতে থাকেন। এতে রিকশাচালক অজ্ঞানের মতো রাস্তায় শুয়ে পড়েন। সুলতান আহমদ টেনেহিঁচড়ে তুলতে গেলে আশপাশের লোকজন এসে বাধা দেন। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির বলেন, ‘মো. সুলতান আহমেদের বাবার নাম আব্দুস সামাদ। বংশাল এলাকায় তাদের একটি চারতলা বাড়ি রয়েছে; এটির হোল্ডিং নম্বর ৩১/২। সেখানে তারা পাঁচ ভাই থাকেন। বংশালের স্থানীয় বাসিন্দা এবং সাইকেলের (বাচ্চাদের) একটি দোকান রয়েছে তার। সাইকেলের দোকান নেওয়ার আগে দীর্ঘ কয়েকবছর বংশালের পায়রা চত্বর এলাকায় ‘সুলতান টি’ নামের একটি দোকানে চা বিক্রি করতেন। স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে সে বিনা কারণে ওই রিকশাচালককে মারধর করেছেন।
আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি পুলিশ নিচ্ছে কি-না, জবাবে শাহীন ফকির বলেন, ‘এটি একটি অধর্তব্য (পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে না) অপরাধ। এই বিষয়ে আমরা ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি আমাদের জানান, ঘটনার সময় উপস্থিত থাকলে কোনো একটা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেত। পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, তবে আমাদের থানার একটি টিমকে আমরা কাজ দিয়েছি, ভুক্তভোগী ওই রিকশাচালককে খুঁজে বের করার জন্য। আমরা ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। যদি রিকশার নম্বর পাওয়া যায় তাহলে ওই রিকশাচালককে খুঁজে বের করে তার সঙ্গে কথা বলে দেখব, সে কোনো মামলা করতে বা অভিযোগ করতে চায় কি-না। সেই অভিযোগ করতে চাইলে আমরা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেব। এর আগে মো. সুলতান আহমেদকে পুলিশ আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা।
এ বিষয়ে সোহেল রানা বলেন, একজন সংবাদকর্মী মঙ্গলবার বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি ভিডিও লিংক পাঠান। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, আজ বেলা আনুমানিক দেড়টায় রাজধানীর বংশালে এক ব্যক্তি এক রিকশাওয়ালাকে সজোরে থাপ্পড় মারছেন। তার নির্যাতনের এক পর্যায়ে রিকশাওয়ালা মাটিতে পড়ে যান এবং জ্ঞান হারান। পাশ থেকে লোকজন এগিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ভিডিওটি দেখামাত্র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং বংশাল থানার ওসি মো. শাহীন ফকিরকে নির্দেশনা দেন নিপীড়নকারী লোকটিকে খুঁজে বের করে দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনতে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বংশাল থানার ওসির নেতৃত্বে একটি টিম অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে আইনের আওতায় আনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।