পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞকে মালদ্বীপের প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচইউ)। ডা. নাজনীন আনোয়ারের জনস্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে ৩৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। ডা. নাজনীন আনোয়ারকে গত ৮ এপ্রিল মালদ্বীপে ডব্লিউএইচও’র প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করা হয়।
গত ১৮ এপ্রিল তিনি মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ শহীদের কাছে তার আনুষ্ঠানিক পরিচয়পত্র উপস্থাপন করেন। উল্লেখ্য, তিনিই প্রথম বাংলাদেশি নারী যিনি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এই পদে ভূষিত হয়েছেন। জনস্বাস্থ্যে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা সনদ ছাড়াও ডা. নাজনীন আনোয়ারের জনস্বাস্থ্যে ৩৫ বছরেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। পেশাগত এসব অভিজ্ঞতার মধ্যে রয়েছে- মানসিক স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্য নীতি, পরিকল্পনা এবং সক্ষমতা বিকাশ, অসংক্রামক রোগ, পুষ্টি, ভ্যাকসিন প্রতিরোধযোগ্য রোগ, অক্ষমতা প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য গবেষণা এবং উন্নয়ন প্রভৃতি। তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আঞ্চলিক অফিস, বাংলাদেশে ডব্লিউএইচও’র কান্ট্রি অফিস এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সফলতার সাথে কাজ করেছেন। অংশীদারিত্বের বিকাশ এবং সম্পদ একত্রিতকরণের মাধ্যমে এই অঞ্চলজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও ক্ষমতাকে জোরদার করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্ভাবনী পদ্ধতির বিকাশ ও বাস্তবায়নের সুবিধার্থে অবদানের জন্য তাঁকে কৃতিত্ব দেয়া হয়।
মানসিক স্বাস্থ্য এবং পদার্থের ব্যবহার নীতি, পরিকল্পনা, কর্মসূচি এবং আইনসভা কাঠামোকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তার সফল ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে।
ডা. নাজনীন আনোয়ার তার বাবা-মা’র ৭ সন্তানের মধ্যে তৃতীয়। চট্টগ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া ডা. নাজনীন আনোয়ারের বাবা মরহুম মাহবুব আলম আনোয়ার ছিলেন আগ্রাবাদ চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (বর্তমান এফআইসিসিআই, ফরেন ইনভেস্টমেন্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ)। দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী ডা. নাজনীন চট্টগ্রামের সেন্ট স্কলাস্টিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজ এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে’র শিক্ষার্থী ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।