মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা মহামারির কারণে বাজার ব্যবস্থায় যে ধস নেমেছিল, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। দেশটির অর্থমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন তুক আল মারি জানান, ২০২০ সালে যেমনটা আশা করা হচ্ছিল ২০২১ সালে দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার তার চেয়েও ভালো হয়েছে। খবর খালিজ টাইমস। দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে ফেডারেল কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্স সেন্টারের এক প্রতিবেদনে এ উন্নতির তথ্য পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে আরব আমিরাত সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা প্যাকেজ এবং সক্রিয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি উঠে এসেছে। মূলত বৈশ্বিক পরিবর্তনের কারণে গৃহীত পদক্ষেপ এবং অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার যে চেষ্টা, সেটিই এ অর্জনের কারণ। ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাইক্রোইকোনমিক সূচকে দেশীয় পণ্য উৎপাদনে ঘাটতি দেখা গেছে। সেই সঙ্গে ২০১৯ সালে থেনন তেলের যে ধারাবাহিক মূল্য ছিল, ২০২০ সালে তা কমে গেছে। জিডিপিতেও এর হার ৬.১ শতাংশ এবং ৬.২ শতাংশ কম লক্ষ্য করা গেছে। মারি জানান, ২০২০ সাল আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগপূর্ণ একটি বছর ছিল। কারণ পুরো বছরেই আমাদের অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। সে সময় আরব আমিরাতের অর্থনীতি এ দুর্যোগের মোকাবেলা করার মতো শক্ত অবস্থানে ছিল না। মূলত দেশটির অর্থনীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, বৈদেশিক বিনিয়োগ, ভ্রমণ শিল্প এবং বৈশ্বিক পরিবহন সংক্রান্ত খাতে বিনিয়োগ এবং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এ খাতগুলোতে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ২০২০ সালে জ্বালানি তেলের বাইরের খাতে যেসব অর্থনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এসব খাতে উৎপাদন বৃদ্ধিতে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলো ইতিবাচক ফল এনে দিয়েছে। এসব খাতে আয় ২৭ হাজার ৩৬১ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালের জিডিপিতে যেসব খাত নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তার মধ্যে গৃহায়ন ও খাবার সরবরাহ খাতে ২৩.৬ শতাংশ অবনমন হয়েছে। এছাড়াও গণপরিবহন এবং স্টোরেজ সুবিধাতে এ হার ১৫.৫ শতাংশ। পাইকারি ও খুচরা বিক্রিতেও ১৩.১ শতাংশ পতন হয়েছে এবং ভবন ও বিল্ডিং নির্মাণ খাতেও ১০.৪ শতাংশ কর্মকান্ড হ্রাস পেয়েছে। যেখানে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ০.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। খালিজ টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।