বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের বিশ্বনাথে চাউলধনী হাওর লীজ গ্রহীতা প্রধান সাইফুল আলমের বন্দুকের গুলিতে নিহত দশম শ্রেণীর ছাত্র সুমেল আহমদের লাশ নিয়ে থানা গেইট ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসুচী পালন করেছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ অবস্থান কর্মসুচী পালন করেন তারা। সময় বক্তারা বলেন, কৃষক ছরকুম আলী দয়াল ও স্কুল ছাত্র সুমেল হত্যার মাষ্টার মাইন্ড, চাউলধনী হাওর খেকু খুনি সাইফুল ও তার সহযোগীদের অভিলম্বে গ্রেফতার করে ফাঁসির বাদি জানান। অন্যতায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে চাউলধনী হাওরের লীজ গ্রহীতা বাহিনীর প্রধান সাইফুল ও তার বাহিনী নিয়ে চৈতননগর এলাকায় কৃষকদের মালিকানা জমি থেকে মাঠি কাটতে গেলে কৃষকরা বাধা দেন। এতে সাইফুল আলম উত্তেজিত হয়ে সাথে থাকা একটি বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে উপর্যপুরী গুলি করে। এতে স্কুল ছাত্র সুমেল, তার পিতা মানিক মিয়া, চাচা প্রবাসি মনির মিয়া ও চাচাতো ভাই সালেহ আহমদ গুরুত্বর গুলিবিদ্ধ হয়। এতে সুমেলের মাথা, চক্কু ও বুকে ৫/৬টি গুলি লাগে। তার পিতার মাথায় গুলি থাকাবস্থায় তিনি সুমেলকে কুলে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। বাকি গুলিবিদ্ধদেরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইতিপূর্বে চাউলধনী হাওরপাড়ের ২৫টি গ্রামের কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি ও সংবাদ সম্মেলন করে সাইফুল বাহিনীর নিকট থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবী করেছিলেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের আশকারা পেয়ে সাইফুল বাহিনী বেপরোয়া হয়ে চৈতননগর গ্রামের কৃষক দয়ালকে হত্যা করে। এই হত্যা মামলাটি বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিয়ে আদালতে মূল খুনিকে বাদ দিয়ে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সন্ত্রাসী বাহিনী চার্জশীট থেকে অব্যাহতি পেয়ে শনিবার পূণরায় প্রকাশ্যে কৃষকদের উপর গুলি চালিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এবং দেশ বিদেশে নিন্দার ঝড় বইছে।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মূসা ইনকিলাবকে জানান, ঘটনায় খবর শুনে সাথেসাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ৪জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার মুল হোতা সাইফুলকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।