মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গোটা ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে অক্সিজেনের বিরাট ঘাটতি দেখা দিয়েছে। রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে হন্যে হয়ে অক্সিজেন খুঁজছেন। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের পুলিশ অদ্ভুত নির্দেশ দিয়েছে রোগীর আত্মীয়দের। সম্প্রতি একটি সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোগীর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, তার করোনা পজিটিভ আত্মীয়কে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে বাড়িতেই রেখেছিলেন তারা।
তবে বাড়িতেও পরিস্থিতি সংকটজনক হওয়ায় অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কাঁদতে কাঁদতে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, বহু এমন করোনা রোগীর আত্মীয় প্রয়াগরাজের বিজেপি বিধায়ক হর্ষবর্ধন বাজপেয়ীর বাড়ির সামনে ভিড় করেছিলেন। ওই বিধায়কের একটি অক্সিজেন প্লান্ট রয়েছে যা এখন উত্তরপ্রদেশ সরকারের অধীনে। সেখান থেকে নিয়ম মেনে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে।
ওই রোগীর আত্মীয় জানিয়েছেন, যেখানেই অক্সিজেনের জন্য যাচ্ছি আমাদের চলে যেতে বলা হচ্ছে। হাসপাতাল ও অক্সিজেন প্লান্টগুলির বাইরে অক্সিজেন না থাকার বোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ কথাও বলছেন না সামান্য। আমি ঢোকার চেষ্টা করায় পুলিশ আমাকে তাড়া করেছিল।’ অন্যদিকে, তার করোনা রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।
তিনি বলেছেন, আমি জানতে চাইলাম যে তাহলে কোথায় যাব? কেউ আমাদের উত্তর দেওয়ারও প্রয়োজন বোধ করেননি। প্রয়াগরাজ থেকে লখনউয়ের সব হাসপাতালে চেষ্টা করেছি। কেউ ভর্তি নেয়নি। তাহলে কোথায় যাব আমরা? আরেক করোনা রোগীর আত্মীয়ের দাবি, কোথাও কোনও অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই। পুলিশকে জিজ্ঞেস করা হলে বলছে, অশ্বত্থ গাছের নিচে বসে অক্সিজেন নিতে। তার কথায়, এক পুলিশকর্মী আমাকে বলেছেন, মা-কে নিয়ে গাছেল তলায় বসো এবং অক্সিজেন নাও।
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছেন, রাজ্যের কোথাও অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি নেই। এমনকি কেন্দ্রের পাঠানো অক্সিজেন সরবরাহের জন্য কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই লখনউ, বারাণসী, গোরখপুর, আগ্রা, আলিগড়, প্রয়াগরাজ, মেরঠ, মথুরা, গৌতম বুদ্ধ নগর, গাজিয়াবাদ, কানপুর, ঝাঁসি, মোরাদাবাদ-সহ একাধিক জায়গায় অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হয়েছে। সূত্র : নিউজ১৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।