Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তারাবিহ-এর নামাজ

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুনশী | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

তারাহীহ শব্দটি বহু বচন। এর একবচন হল তারাবীহাতুন। এর অর্থ বিশ্রাম নেয়া, আরাম করা। প্রতি চার রাকাত নামাজ আদায়ের পর কিছুটা সময় বিশ্রাম নেয়া হয় বলে এই নামাজের নামকরণ করা হয়েছে ‘তারাবীহ’। এই নামাজকে তারাবীহাও বলা হয়। এতদপ্রসঙ্গে আল্লামা মোল্লা আলী কারী (রহঃ) বলেছেন, প্রতি চার রাকাত নামাজকেই তারাবীহা বলা হয়। এই নামাজ এশার ফরজ ও সুন্নাত আদায়ের পর বিতির নামাজের পূর্বে আদায় করতে হয়।

পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) এই নামাজ নিজে আদায় করেছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : যে ব্যক্তি রমজান মাসের রাত্রিতে ঈমান ও এহতেসাব (সতর্কতা) সহকারে নামাজ আদায় করবে, তার পূর্বের যাবতীয় গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (সহিহ বোখারি ও সহিহ মুসলিম)।

এই হাদিসে বর্ণিত ‘মান্ ক্বামা রামাজানা’ অর্থ যে ব্যক্তি তারাবীহ নামাজ রমজানের রাত্রে আদায় করবে। এই হাদিসের আলোকে বুঝা যায় যে, তারাবীহ নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। কেননা, এই নামাজ খুলাফয়ে রাশেদীন নিয়মিত আদায় করতেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) স্পষ্টতই বলেছেন যে, এই নামাজ সুন্নাত। উল্লিখিত হাদিসে ‘ঈমান’ শব্দের অর্থ হলো একে সত্য বলে জানা এবং মানা এবং এর ফজিলত ও মর্তবা সম্পর্কে বিশ্বাসী ও আস্থাবল হওয়া। আর ‘ইহতিসাব’ শব্দের অর্থ হলো, এর দ্বারা কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও অগণিত সওয়াব লাভ করার দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করা ও ইখলাসের বিপরীত কোনো কাজ না করা। আর ‘পূর্ববর্তী গোনাহ মাফ হওয়ার’ অর্থ হলো, সঠিকভাবে তারাবীহ নামাজ আদায় করলে পূর্ববর্তী সগিরা এবং কবিরা সব ধরনের গোনাহই মাফ হয়ে যাবে। কেননা, রমজান মাস রহমত, বরকত ও জাহান্নাম হতে মাগফেরাত লাভের মাস। এই নীরিখে সকল শ্রেণির গোনাহ মাফ হওয়াই কাম্য।

তারাবীহ নামাজ বিশ রাকাত আদায় করতে হবে। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসে বিতির নামাজ ছাড়া বিশ রাকাত নামাজ পড়তেন।’ এ জন্য বিশ রাকাত পড়াই শ্রেয়। আল্লাহপাক আমাদেরকে সহিহভাবে তারাবীহ নামাজ আদায় করার তৌফিক এনায়েত করুন। আমীন!



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ শাহআলম ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ৯:৫২ এএম says : 0
    সাধারণত মসজিদে জামায়াতের সহিত তারাবী সালাত আদায়ের সময় ৪ রাকাত পরে একটু বিস্ত্রাম না নেওয়ার কারণ কি? যেহেতু আপনি বলেছেন তারাবী কথার অর্থ আরাম /বিস্ত্রাম।দয়াকরে আমাকে জাণাবেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ