পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র রমজান মাসে খতম তারাবিহ পড়ার সময় সারাদেশে সকল মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে দেশের প্রায় সকল মসজিদে খতম তারাবিহ্তে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত না করার রেওয়াজ চালু রয়েছে। তবে কোন কোন মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে করে কর্ম উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী মুসল্লিদের মধ্যে কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না।
এই অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন। এ পরিস্থিতি নিরসনকল্পে রমজানের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে অর্থাৎ পবিত্র লাইলাতুল কদরে কোরআন খতম করা সম্ভব।
এর আগে বিষয়টি নিয়ে দেশবরেণ্য আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ ও খতীব-ইমামগণের সাথে আলোচনা হলে তারাও এ পদ্ধতিতে খতম তারাবিহ পড়ার পক্ষে অভিমত দিয়েছিলেন এবং সে অনুযায়ী অধিকাংশ মসজিদে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
এ অবস্থায় দেশের সকল মসজিদে খতম তারাবিহ্তে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরে কোরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মসজিদের ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, তারাবিহ্ নামাজ ২০ রাকাত, যা সাহাবীগণ আমল করেছেন। ইসলামের প্রথম যুগ থেকে ওলামা ও ফকীহ্গণ তা অনুসরণ করে আসছেন এবং মসজিদুল হারাম ও মসজিদুন নববীসহ সারাবিশ্বের মুসলমানগণ এভাবেই তা পালন করে আসছেন। সে সাথে তারাবিহ্তে কোরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে উচ্চারণ স্পষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।