Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভারতফেরত পলাতক করোনা রোগীদের নিয়ে ক্ষোভ সামাজিক মাধ্যমে

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ৮:৩৪ এএম | আপডেট : ১০:৩১ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২১

করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ধরন নিয়ে যখন চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছেন ঠিক সেই মুহুর্তে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড থেকে পালিয়েছে ভারতফেরত ১০ করোনা রোগী। ফলে এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে করে করোনার প্রাণঘাতি ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় চরম উদ্বেগ জানিয়েছেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা। এই ঘটনায় ফেসবুকে অনেকেই ক্ষোভ জানিয়ে দায়ী কর্তৃপক্ষের বিচারের দাবি তুলেছেন।

গত শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে রোববার (২৫ এপ্রিল) বিকেলের মধ্যে ভারতফেরত ওই ১০ করোনা রোগী পালিয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীদের অবহেলার কারণে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও তাদের পরবর্তীতে আটক করতে সক্ষম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এনিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ জানিয়ে জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া ভারত প্রত্যাগত করোনা রোগীদের আটক করাই যথেষ্ট নয়, তারা যে বাড়িতে অবস্থান করছিল সেই বাড়িগুলো লকডাউন করতে হবে। যে সমস্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসে ছিল তাদেরকেও আইসোলেশন করতে হবে। বিশেষ করে এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায় অত্যন্ত সুস্পষ্ট। কেননা হাসপাতালে রক্ষিত পাসপোর্টগুলো কর্তৃপক্ষ না দিলে রোগীরা পেত না। রোগীদের পালিয়ে যাওয়ার ভাষ্যটি একেবারেই মিথ্যাচার। কাজেই সংশ্লিষ্টদের কঠোর বিচার করতে হবে।’’

মোঃ মিন্টু লিখেছেন, ‘‘যশোর জেনারেল হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সকল সেবক এবং সেবিকা ও কর্মকর্তাদের কর্তব্যকাজে অবহেলার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে শুধু বিভাগীয় ব্যবস্থা নিলে হবে না সংক্রামক রোগ ছড়ানোর সহযোগিতার অভিযোগে এদের বিরুদ্ধে ফৌজদারিতেও ব্যবস্থা নিতে হবে এবং যারা হাসপাতাল থেকে পলাতক হয়েছেন তাদেরকে খুঁজে বের করে বয়ারচর এ দুই মাস করে কোয়ারেন্টাইন করাতে হবে।’’

কাওছার রশিদ লিখেছেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে তারা পালিয়েছে এ ব্যাপারে যশোরের সিভিল সার্জনসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। যেন আগামী দিনে অন্য কোন হাসপাতালে এরকম দুর্ঘটনা না ঘটে।’’

দেওয়ান লিজার মন্তব্য, ‘‘এই সময় ভারত থেকে যারাই এসেছে তাদেরকে আলাদাভাবে এক্সট্রা রেস্ট্রিকশন এ রাখা উচিত ছিল। যা হওয়ার ভয় ছিল তা এতক্ষণে হয়তো হয়েও গেছে! মানুষ যেখানে হসপিটাল এ জায়গা পাচ্ছেনা সেখানে এরা হসপিটাল থেকে পালায়!!!অদ্ভুত জাতি আমরা!!নিজে তো মরবো,অন্যকেও মারবো।’’

করোনার ভারতীয় ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে মাহিদ রহমানের পরামর্শ, ‘‘যে এলাকায় ১০ জন ভারত ফেরত কোভিড পজেটিভ লোক পালিয়েছে, ওই এলাকায় ফুল লকডাউন দিয়ে, সকল যাতায়াত বন্ধ করে ওদের খুঁজে বের করা উচিত। আর পুরো এলাকা ১৪ দিন এভাবে রাখা উচিত।’’

হতাশা প্রকাশ করে মেহেদী হাসান পল্লব লিখেছেন, ‘‘এ আর নতুন কি। মনে আছে প্রথমবারের কথা বিদেশ থেকে ঢুকতে দিয়ে চকিদার দিয়ে খুঁজে বেরায়! এই হচ্ছে দেশের অবস্থা।’’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ