Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২ মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে মামুনুল হক

‘পুলিশ কর্মকর্তার অনুরোধে বায়তুল মোকাররম গিয়েছিলাম’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মতিঝিল ও পল্টন থানার নাশকতার পৃথক দুই মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে পল্টন থানার মামলায় ৪ ও মতিঝিল থানার মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। গতকাল সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন। মামুনল হকের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এ তথ্য জানান।
অন্যদিকে রিমান্ড শুনানি চলাকালে আদালতের অনুমতি নিয়ে মাওলানা মামুনুল হক বিচারককে বলেন, পুলিশের ডিআইজি পদমর্যাদার একজনের কথা রাখতে গিয়ে ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে গিয়েছিলেন।

একজন আইনজীবী জানান, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান হেফাজত নেতা মামুনুলকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে হাজির করেন। অপরদিকে, চলতি বছরের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক কামরুল ইসলাম আসামি মামুনুল হককে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, এদিন মোহাম্মপুর থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা হেফাজত নেতা মামুনুলকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ মামলায় তাকে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতকে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, গত ২৬ মার্চ আমি বাংলাবাজার জুমা মসজিদে পুলিশ প্রটেকশনে নামাজ পড়িয়েছি। নামাজ শেষে জানতে পারি বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিরা জড়ো হয়েছে। এরপর একজন ডিআইজির অনুরোধে বায়তুল মোকাররম মসজিদে যাই, সেখানে আমাকে বক্তব্য রাখতে বলা হয়। তারপর ওইখানে আমি বক্তব্য রাখি। আমিতো কোনো অন্যায় করিনি। ভতিষ্যতে পুলিশ অনুরোধ করলে আমরা তো কোথাও যেতে পারবো না।

এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মামুনুলের বক্তব্যে বিষয়ে কোর্টকে বলেন, তিনি এভাবে বক্তব্য দিতে পারেন না। তবে আদালত মামুনুলকে বলতে বলেন। মামুনুল আবার বলেন, আপনি (আদালতের বিচারক) চাইলে আমার ওইদিনের কল রেকর্ড চেক করতে পারেন। পরে তার জামিন ও রিমান্ড বিষয়ে শুনানি হয়।

আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বলেন, পল্টন থানার দায়ের করা মামলায় বাদী পক্ষের কোনো তথ্য ঠিক নেই। তিনি কোন হাসপাতালে ছিলেন তার কোনো তথ্য দেননি। মোহাম্মদপুর থানায় করা চুরি ও মারধরের মামলায় মামুনুল হকের ১৯ এপ্রিল সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সাতদিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ২ হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামিও করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দফতর সম্পাদক খন্দকার আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি করেন। একই সঙ্গে ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার নাশকতা মামলায় মাওলানা মামুনুল হকের ১০ দিনের রিামান্ড চায় পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হেফাজতে ইসলাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ