Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

টিটি’র প্রতিভা অন্বেষণ ফাইলবন্দী!

প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রতিভা বাছাই তো দূরে থাক, এই কার্যক্রমে এখন পর্যন্ত হাতেই দেয়নি বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন। ফাইলবন্দী হয়েই আছে টিটি’র প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম! বিভিন্ন ক্রীড়া ডিসিপ্লিনে তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় তুলে আনতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রমের আওতায় ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। সেই মোতাবেক তৃণমূল পর্যায় থেকে নতুন খেলোয়াড় তুলে আনার লক্ষ্যে প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম শুরু করেছে বিভিন্ন ফেডারেশন। অনেকের কার্যক্রম শেষের পথে। কিন্তু অবাক হলেও সত্য যে, এনএসসি’র কাছ থেকে এক কিস্তির অর্থ নিয়েও প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রমে এখন পর্যন্ত সেই কার্যক্রমে হাত দিতে পারেনি টেবিল টেনিস ফেডারেশন।
দেশব্যাপী প্রতিভা অন্বেষণের জন্য টেবিল টেনিস ফেডারেশনের জন্য ৩২ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫০ টাকা বরাদ্দ দেয় এনএসসি। যার প্রথম কিস্তির ছয় লাখ টাকা ইতোমধ্যে তুলেও নিয়ে গেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার হাসান মুনীর। অভিযোগ রয়েছে, অর্থ তুলে নিলেও এখন পর্যন্ত প্রতিভা অন্বেষণের কার্যক্রম শুরু করেননি তিনি। যদিও এনএসসিতে একটি অসম্পূর্ণ পরিকল্পনা জমা দিয়েছেন তিনি। অভিযোগে আরও জানা যায়, পরিকল্পনা থেকে শুরু করে অর্থ উত্তোলন পর্যন্ত কোন কার্যক্রমেই কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডাকেননি মুনীর। তবে জানা গেছে, ২২ সেপ্টেম্বর থেকে টিটির প্রতিভা অন্বেষণের কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ বিষয়ে টিটি’র সাবেক তারকা খেলোয়াড় সাইদুল হক সাদী বলেন, ‘বক্সিং, তায়কোয়ান্ডো, কারাতে, নৌকাবাইচ, হ্যান্ডবলসহ বিভিন্ন ফেডারেশন তাদের প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম অনেক আগেই শুরু করেছে। এমনকি অনেকের প্রতিভা বাছাই শেষ হওয়ারও পথে। কিন্তু আমাদের টিটি ফেডারেশন এখনো কোন কার্যক্রমই হাতে নেয়নি। উল্টো ছয় লাখ টাকা তুলে নিয়েছে। এ নিয়ে এনএসসিতে অনেক কথা শুনতে হয় আমাদের। সাধারণ সম্পাদক মুনীর যা ইচ্ছে তাই করছেন। টিটিকে নিয়ে গেম খেলবে এটা সহ্য করা যায় না।’ আরেক সাবেক তারকা খেলোয়াড় এনায়েত হোসেন মারুফের কথা, ‘১০ হাজার টাকার উপরে কোন প্রোগাম হাতে নিলে ইসি মিটিংয়ে অনুমোদন নিতে হয়। প্রায় সাড়ে ৩২ লাখ টাকার মতো প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম, এত বড় প্রোগ্রাম হলেও কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন ছাড়াই মনগড়াভাবে ও গোপনে এনএসসিতে একটি অসম্পূর্ণ পরিকল্পনা জমা দিয়েছেন মুনীর। যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মুনীরের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টিটি’র প্রতিভা অন্বেষণ ফাইলবন্দী!
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ