পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719936171](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় হাজী মুসা ম্যানশন ভবনের নিচতলায় কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই ও তিন নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গত রোববার রাতে ও গতকাল সোমবার সকালে র্যাবের বিশেষ অভিযানে মামলার দুই নম্বর আসামি মোস্তাফিজুর রহমানকে ঢাকা থেকে ও তিন নম্বর আসামি মোহাম্মদ মোস্তফাকে বগুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় তারা গোডাউনে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ মজুদ করেছিলেন।
এ জাতীয় কেমিকেল মজুদের ব্যাপারে তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি ছিল না। তারা প্রায় পাঁচ থেকে সাত বছর ধরে এ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মিডিয়া পরিচালক আরও জানান, মোস্তাফিজুর রহমান মঈন এন্ড ব্রাদার্সের স্বত্ত¡াধিকারী এবং মোহাম্মদ মোস্তফা মেসার্স আরএস এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত¡াধিকারী। প্রতিষ্ঠান দুটি হাজী মুসা ম্যানশনের নিচ তলায় অবস্থিত। আগুনে নিহত ও আহত হওয়ার পরে এই দুইজন আত্মগোপনে চলে যান। গত শুক্রবার ২৩ এপ্রিল ভোররাত ৩টা ১৮ মিনিটে হাজী মুসা ম্যানশনে আগুনের সূত্রপাত হয়। ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক চারজনের মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা যান।
আগুনের ঘটনায় শুক্রবার রাত ৯টায় বংশাল থানার এসআই মোহাম্মদ আলী শিকদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় ভবন মালিক মোস্তফা আহম্মেদ এবং কেমিক্যাল গোডাউনের মালিকদের। মামলার বাদী এজাহারে অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হাজী মুসা ম্যানশনের নিচতলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি টিম প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা থানা পুলিশের সহায়তায় ভবনের ভেতর প্রবেশ করে আহত অবস্থায় ২১ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সাজারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। পরে ভবন তল্লাশি করে ৩ জন পুরুষ ও একজন নারীর লাশ উদ্ধার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভাগীয় প্রধান স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে পাঠানো হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, মুসা ম্যানশনের মালিক মোস্তফা আহম্মেদসহ অন্যান্য কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা ভবনের নিচতলায় দাহ্য পদার্থ এবং কেমিক্যাল সংরক্ষণের জন্য দোকান/গোডাউন হিসেবে তাচ্ছিল্যভাবে ব্যবহার করে। কেমিক্যালের দোকান/গোডাউনের আগুন লাগার ফলে কেমিক্যালের বিষাক্ত ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ও আগুনে দগ্ধ হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়। উক্ত বাড়িতে বসবাসরত আবাসিক ভাড়াটিয়াদের বিভিন্ন আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে ও ভাঙচুর হয়ে পঞ্চাশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উক্ত আসামিরা তাচ্ছিল্যভাবে মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে জেনেও অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য আবাসিক স্থলে দাহ্য পদার্থ ও কেমিক্যাল সংরক্ষণের জন্য দোকান/গোডাউন ব্যবহার করে অবহেলার ফলে মৃত্যু ঘটাইয়া ও ক্ষতিসাধন করে পেনাল কোড আইনের ৩০৪-ক/৩৩৭/৪২৭ ধারায় অপরাধ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।