নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ইউএস ওপেন জয়ের পরপাল্লা ভারী ছিল তার দিকে। তা যতই ক্যারোলিনা পিলিস্কোভা হারিয়ে আসুন না কেন সেরেনা উইলিয়ামসকে। শেষ পর্যন্ত ইউএস ওপেনের জয়ের হাসি থাকল অ্যাঞ্জেলিক কারবারের ঠোঁটেই। সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড সø্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছিলেন তাকে তো কিছুটা। অ্যাঞ্জেলিক কারবার বছরটা শেষ করলেন ইউএস ওপেনের শিরোপা দিয়ে। নিউইয়র্কের ফ্ল্যাশিং মিডোসে গেলপরশু রাতের ফাইনালে চেক প্রজাতন্ত্রের কারোলিনা প্লিসকোভাকে ৬-৩, ৪-৬, ৬-৪ গেমে হারিয়েছেন জার্মান এই টেনিস তারকা। ফাইনালের আগেই সেরেনাকে পেছনে ফেলে মেয়েদের টেনিসে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটা নিশ্চিত করে রেখেছিলেন। শিরোপা জিতে কী দারুণভাবেই না সেটা উদ্যাপন করলেন!
একই বছরে দুটো গ্র্যান্ড স্ল্যাম, সঙ্গে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান। ফাইনালের পর ট্রফি আর ৩৫ লাখ ডলার প্রাইজমানির চেক হাতে নিয়ে কারবার ছিলেন দারুণ উচ্ছ্বসিত, ‘এটা চমকপ্রদ ব্যাপার। এটা আমার ক্যারিয়ারের সেরা বছর। আসলেই অবিশ্বাস্য লাগছে। আমি যখন ছোট ছিলাম, স্বপ্ন ছিল এক নম্বর খেলোয়াড় হওয়ার, গ্র্যান্ড সø্যাম জেতার। আজ আমি আমার দ্বিতীয় গ্র্যান্ড সø্যাম শিরোপা হাতে এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং সোমবার (গতকাল) আমি আনুষ্ঠানিকভাবে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর খেলোয়াড় হব। আমার সব স্বপ্নই এ বছর সত্যি হলো।’
জার্মান মেয়েদের মধ্যে এর আগে সর্বশেষ ইউএস ওপেন জিতেছিলেন স্টেফিগ্রাফ, ১৯৯৬ সালে। ২০ বছর পর আরও এক জার্মানকে ফ্লাশিং মিডোতে জিততে দেখে ফাইনালের পরপরই কারবার খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন গ্রাফ। শুভকামনা জানিয়েছিলেন ফাইনালের আগেও। কারবার কৃতজ্ঞতা জানতে ভুললেন না, ‘তিনি ছোটবেলা থেকেই আমার আদর্শ। আমি তাঁকে এ কথাটা অনেকবার বলেছিও।’ তবে গ্রাফের মতো কিংবদন্তির সঙ্গে নিজেকে তুলনা না করে কারবার চান নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করতে, ‘আমার পক্ষে স্টেফি হওয়া সম্ভব নয়। আমার জন্য ভালো হচ্ছে নিজের তৈরি করা পথে হাঁটা।’
বয়স ২৮ হয়ে গেছে। টেনিসের জন্য কিছুটা বেশি বয়সই। অথচ এই বয়সে এসেই দুটো গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন কারবার। কাল র্যাঙ্কিং আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হলে তিনি গড়বেন সবচেয়ে বেশি বয়সে প্রথমবার এক নম্বর হওয়ার কীর্তিও! কারবারের তো আসলেই সুসময় চলছে। দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জেতার পর জার্মান তারকা ‘ক্যারিয়ারের সেরা বছর’ ঘোষণা করলেন ২০১৬কে। তা বলবেনই না বা কেন। এই বছরটা যে দুহাত ভরে দিয়েছে তাকে। বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে জেতেন প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা। উঠেছিলেন আবার উইম্বলডনের ফাইনালে, সেখানে সেরেনা উইলিয়ামসের কাছে শিরোপা হারালেও ভুল করেননি ইউএস ওপেনে। এক বছরে তিনটি বড় টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও দুটি শিরোপা জেতার পর তাই কেরবারের ঘোষণা, ‘এক বছরে দুটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়। আমার ক্যারিয়ারের সেরা বছর।’
ওদিকে প্রথমবার গ্র্যান্ড স্ল্য্যামের ফাইনালে উঠেও ট্রফি হাতছাড়া হওয়ায় কিছুটা হতাশ প্লিসকোভা। তবে চেক প্রজাতন্ত্রের এই খেলোয়াড় মেনে নিয়েছেন, তিনি সেরা খেলোয়াড়ের কাছেই হেরেছেন, ‘ও আজ প্রমাণ করেছে, আসলেই সে এক নম্বর খেলোয়াড়। আমি জানতাম কাজটা অনেক কঠিন হবে। তবু দ্বিতীয় সেটে বেশ ভালো লড়াই করেছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।