মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোভিড সংক্রমণ ও মৃত্যুতে নাকাল গোটা ভারত। হাসপাতালগুলোতে আর রোগী ভর্তির জায়গা নেই, অক্সিজেনের মজুদ ফুরিয়ে আসছে, চিকিৎসার অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। আবার মারা যাওয়ার পরেও সৎকারের জন্য লাইনে থাকতে হচ্ছে। এরইমধ্যে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, ভারতে কোভিডে মৃতের সংখ্যা সরকারি তথ্যের থেকেও অনেক বেশি।
ভারতে প্রতিদিনই শনাক্ত হচ্ছে ৩ লাখের বেশি মানুষ। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংখ্যা আসল সংক্রমণের তুলনায় অনেক কম। এখন অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছেন ভারতে কোভিডে মৃতের আসল সংখ্যা নিয়েও। দেশটিতে কোভিডে মৃতের সংখ্যা ২ লাখ প্রায়।
প্রতিদিনই ২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর জানাচ্ছে সরকার। কিন্তু দেশটির মরদেহ সৎকারের স্থানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সেখানে আগুন আর বন্ধ হচ্ছে না। সরকার যে তথ্য দিচ্ছে তার থেকেও অনেক বেশি মানুষের সৎকার করা হচ্ছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির রাজনীতিবিদরা জনরোষের ভয়ে মৃতের সংখ্যা কমিয়ে বলছে। কিংবা হাসপাতালগুলো মৃতের সংখ্যা কম গণনা করছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পরিবারগুলোও কোভিডে মৃতের কথা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। কারণ, ভারতে কোভিডে মৃত্যুকে কিছু ক্ষেত্রে লজ্জাজনক হিসেবে মনে করার প্রবণতা দেখা গেছে।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারি বিশেষজ্ঞ বর্বর মুখার্জি বলেন, ভারত সরকারের দেয়া তথ্যের কোনো ঠিক নেই। আমরা যতগুলো মডেলই তৈরি করেছি, তাতে দেখা গেছে মৃতের সংখ্যা ২ থেকে ৫ গুন বেশি। দেশটির চিতাগুলো এখন ২৪ ঘন্টাই জ্বলছে। ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে আশেপাশের আকাশ। আশেপাশের মানুষেরা বলছেন, এরকম অবস্থা তারা কখনো দেখেননি।
ভারতের শহর ভোপালে ১৯৮০র দশকে গ্যাস লিক হয়ে হাজারো মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তারা বলছেন, সেই ঘটনার পর এই প্রথম সেরকম হারে মরদেহ সৎকার করতে দেখছেন তারা। কিন্তু সরকারি তথ্য বলছে, গত ১৩ দিনে সেখানে মাত্র ৪১ জনের কোভিডে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমসের অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই একই সময়ে এক হাজারের বেশি মানুষকে দাহ করা হয়েছে সেখানে। ভোপালের কার্ডিওলোজিস্ট জি সি গৌতম জানান, প্রতিদিন মৃতের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু মৃতের সংখ্যা রেকর্ড করা হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ এটি প্রকাশ্যে আনছে না কারণ তারা মানুষকে উদ্বিগ্ন করতে চান না। একই অবস্থা দেখা গেছে, লক্ষেèৗ, মির্জাপুরসহ উত্তর প্রদেশের অনেক শহরে। গুজরাটেও মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, সরকার যে মৃতের সংখ্যা বলছে তার থেকেও অন্তত ৫ গুন বেশি মানুষ কোভিডে মারা গেছেন। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।