মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের অবসরপ্রাপ্ত ৮৮ জন জেনারেল ও অ্যাডমিরাল এক খোলা চিঠিতে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। চিঠিতে তারা বলেন, তিনি আমাদের সেনাবহিনী পুনর্গঠন, আমাদের সীমান্ত নিরাপদ, আমাদের ইসলামিক আধিপত্যবাদী শত্রুদের পরাজিত এবং দেশে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত শীর্ষ নেতা হিসেবে আমাদের বিশ্বাস, এ পরিবর্তন এমন একজন মানুষের দ্বারাই সম্ভব, যিনি আমাদের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে ফেলা এবং বিশ্বজুড়ে আমাদের দেশের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা ব্যক্তি ও সংগঠনকে বাড়তে দেওয়ার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত নন অথবা যথেষ্টভাবে দায়ী নন। এ কারণেই দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে আমরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করছি।
মেজর জেনারেল সিডনি শাচনাউ, হলোকাস্টে বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তি যিনি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং রিয়ার অ্যাডমিরাল চার্লস উইলিয়ামসের (লিজন অব ম্যারিট জয়ী) উদ্যোগে জনসম্মুখে ওই চিঠিটি প্রকাশ পায়। ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ঘোষণার সময় শাচনাউ বলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতো মানসিক শক্তি তার আছে।
উইলিয়ামস বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে বেশি আস্থাভাজন বলে মনে করেন শীর্ষ সেনাকর্মকর্তারা। এই চিঠি সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে খোদ রিপাবলিকান দলের অনেক প্রভাবশালী নেতারই ট্রাম্পকে পছন্দ নয়। তাদের অনেকেই প্রকাশ্যে ট্রাম্পের প্রতি আস্থা না থাকার কথা প্রকাশ করেছেন। এ অবস্থায় সেনাবাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমর্থনে দারুণ খুশি ট্রাম্প বলেন, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এতজন বিশিষ্ট নেতার সমর্থন পাওয়া সত্যিই দারুণ সম্মানের। আমি তাদের প্রত্যেককে দেশের প্রতি তাদের সেবা ও পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কয়েকবারই সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প। এ প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে তিনি একটি ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু করবেন। এ ছাড়া বিজয়ী হলে শপথ নেয়ার পরপরই অপরাধীদের বিতাড়ন শুরু করারও অঙ্গীকার করেন তিনি। এক নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তৃতাকালে তিনি অবৈধ অভিবাসী চিহ্নিত করতে তার বিস্তারিত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি একে ‘আগমন-বহির্গমন’ (এন্ট্রি-এক্সিট) কর্মসূচি হিসেবে উল্লেখ করেন। এ কর্মসূচির আওতায় যারা ভিসার মেয়াদ চলে যাওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করবেন তাদের খুঁজে বের করা হবে। তিনি মেক্সিকোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত বরাবর একটি দেয়াল তুলে দিতে তার সমর্থনের কথা পুনর্বাক্ত করেন। তিনি বলেন, তিনি অবৈধ অভিবাসীদের সুবিধা নেয়ার সুযোগ বন্ধ করবেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি একটি সুবিশাল সীমান্ত দেয়াল নির্মাণ, দেশব্যাপী ই-ভেরিফাই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, অবৈধ অভিবাসীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেয়া বন্ধ, আর যারা তাদের ভিসার মেয়াদের বাইরে এদেশে বসবাস করছে, তাদের খুঁজে বের করতে এক্সিট-এন্ট্রি সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছি। তিনি এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী এক কোটি ১০ লাখ লোককে বিতাড়িত করার কথা বলেছিলেন। তবে পরবর্তীতে তিনি বলেন, কেবল অপরাধীদের যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।